ছোট জায়গায় বড় অর্থনৈতিক শক্তি
ভোরে, হালকা কুয়াশায় জেগে উঠে নান মু ছিয়াও নামের একটি গ্রাম। এ গ্রাম অবস্থিত হু নান প্রদেশের মাইয়াং মিয়াও জাতির স্বায়ত্তশাসিত জেলায়। সূর্যোদয়ে পাহাড়ে শোনা যায় হাসি। এখানে নির্মিত নতুন একটি গবেষণা ও লেখাপড়া বেইস এবং এখানে অনেক বাবা-মা নিজেদের বাচ্চা নিয়ে আসেন। তারা এখান মিয়াও জাতির গান শেখেন, আঠালো চালের কেক তৈরি করেন এবং সিংহ নাচ ও ড্রাগন নাচ উপভোগ করেন। চীনের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিসির এ গ্রাম শাখার সম্পাদক থান চ্য ইউংয়ের মতে, তাদের এ গ্রামের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও সৌন্দর্য আছে এবং গ্রামে ঘুরে বেড়ানো খুব মজার। থানচ্য ইউংয়ের জন্য গর্বের আরেকটি ব্যাপার হলো ২০২৩ সালে গ্রামের আয় ছিল ১৫ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান। অনুর্বর পর্বত এখন ফলের বাগানে পরিণত হয়েছে। ফল চাষ, পশুপালন ও সাংস্কৃতিক পর্যটনের মাধ্যমে এ গ্রামের রূপান্তর হয়েছে।
থান চ্য ইউং তিনটি গল্পের মাধ্যমে এ পুরো প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানিয়েছেন।
প্রথম গল্প, যুব মানুষ পুরাতন গ্রামে প্রাণশক্তি যোগায়। ২০০৮ সালে চীনে চালু হয় বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকদের গ্রামে নিয়োগ প্রকল্প এবং মা ইয়াং জেলায় এসেছেন বেশ কয়েকজন যুবক। তারা নান মু ছিয়াও গ্রামে সম্ভাবনা দেখেছেন। এখানে পাহাড়ি অঞ্চল এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ ভাল। অনেকে পশুপালন ও চাষবাস কাজ করেন। তেরজন বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকের উদ্যোগে গ্রামে একটি উদ্যোগ পার্ক চালু হয়েছে এবং ফল চাষ শুরু হয়েছে।
পরে এ যুবকরা একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন এবং যারা এখানে ব্যবসা করতে চান তাদেরকে ঋণ গ্যারান্টি ও প্রযুক্তি সমর্থন দেন। দরিদ্র এ গ্রাম হু নান প্রদেশের দৃষ্টান্ত গ্রামে পরিণত হয়েছে।
এখন শুধু স্নাতকরা নয়, গ্রামের সাধারণ বাসিন্দারাও ব্যবসা শুরু করেছেন। গ্রামে চাষ করা ফলের প্রজাতিও আগের চেয়ে বেশি হয়েছে। কমলা, কিউই, হলুদ পিচ, ব্লুবেরি, আঙ্গুরসহ নানা ফল এখানে পাওয়া যায়। উদ্যোগ পার্কের আয়তন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩৩ হেক্টরে।