ছোট জায়গায় বড় অর্থনৈতিক শক্তি
শীতকালের উষ্ণ রোদে ফিনিক্সের আকারে একটি বুলেট ট্রেন স্টেশন জ্বলজ্বল করছে। হু নান প্রদেশের সিয়াং সি থু চিয়া ও মিয়াও জাতি স্বায়ত্তশাসিত এলাকার ফিনিক্স জেলায় অবস্থিত এ বুলেট ট্রেন স্টেশন দেশব্যাপী পর্যটকের আকর্ষণ করে। ছুটির সময়ে স্টেশনের কর্মীরা মিয়াও জাতির ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে নাচ-গান করেন এবং সবাইকে আধুনিক এ ম্যাগলেভ সাইটসিয়িং এক্সপ্রেসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। ফিনিক্স নামে এ এক্সপ্রেস চীনের প্রথম জেলা পর্যায়ের একটি ম্যাগলেভ সাইটসিয়িং এক্সপ্রেস। যে কেউ বুলেট ট্রেন থেকে নেমে একই স্টেশনে এ এক্সপ্রেসে চড়তে এবং ১৫ মিনিট পর ফিনিক্স নামে পুরাতন নগরে পৌঁছাতে পারে।
দীর্ঘ সময় ধরে ফিনিক্স জেলার পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন সীমাবদ্ধতা ছিল পরিবহন। আগে রাজধানী থেকে ফিনিক্স জেলায় আসতে বাসে করে ৬-৭ ঘন্টা লাগত। যদিও ফিনিক্স চীনে বিখ্যাত একটি দর্শনীয় স্থান তবে এখানে আসা সুবিধাজনক ছিল না বলে অনেকে আসতে পারতো না।
২০২১ সালে বুলেট ট্রেন চালু হবার পর ছাংশা ও ফিনিক্স জেলার মধ্যে যাত্রার সময় ৩ ঘন্টায় নেমে এসেছে। তবে বুলেট ট্রেন স্টেশন ও পুরাতন নগরের মধ্যে আরও রয়েছে ১০ কিলোমিটারের একটি যাত্রা। পর্যটকরা ফিনিক্স জেলায় যেতে চাইলে আরেকটি বাস ধরতে হবে। এমন প্রেক্ষাপটে ২০২২ সালের মে মাসে চালু হয় ম্যাগলেভ সাইটসিয়িং এক্সপ্রেস।
৯.১ কিলোমিটার দীর্ঘ এ এক্সপ্রেসে রয়েছে ৪টি ছোট স্টেশন। স্টেশনগুলো পর্যটকদেরকে মজার অভিজ্ঞতা দেয়। এক্সপ্রেসের কোচে সংখ্যালঘু জাতির স্টাইল অনুযায়ী সাজানো। পর্যটকরা এখানে যেমন আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপভোগ করতে পারেন তেমন পুরাতন নগরের পাহাড় ও নদীর দৃশ্যও উপভোগ করতে পারেন। এটি শুধু একটি এক্সপ্রেস নয় বরং নতুন একটি দৃর্শনীয় স্থান। তাই এ এক্সপ্রেসও থ্রি-এ পর্যায়ের একটি দর্শনীয় স্থান। বসন্ত উত্সবের সময়ে ফিনিক্স এক্সপ্রেসে চড়ে প্রতিদিন ১০ হাজারের বেশি পর্যটক।