ছোট জায়গায় বড় অর্থনৈতিক শক্তি
দ্বিতীয় গল্প, সহযোগিতা ও ঐক্যের গল্প।
২০১৬ সালে নান মু ছিয়াও গ্রাম ও পাশেরে দুটি গ্রাম নিয়ে নতুন একটি গ্রাম হয়। তবে পাশে দুটি গ্রামে দরিদ্র মানুষ বেশি বলে নতুন গ্রামও দরিদ্র গ্রাম হয়ে যায়। থান চ্য ইউং মনে করেন, দারিদ্রমুক্ত হতে চাইলে সহযোগিতা করতে হয়। তারা কাছেকাছি ৫টি গ্রামের সঙ্গে যৌথ উন্নয়নের একটি পরিকল্পনা তৈরি করেন। ফলে ৬টি গ্রামের যৌথ প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৩৩ হেক্টরের বড় একটি শিল্প পার্ক। সেখানে কিউই, ব্লুবেরি ও চীনা ভেষজ চাষ করা হয়। স্থানীয় কৃষকরা একদিকে শিল্প পার্কে কাজ করার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন অন্যদিকে তারা জমি দিয়ে ব্যবস্থাপনায় অংশ নিতে পারেন। প্রতি বছর তারা লভ্যাংশ পান। ছটি গ্রামের সহযোগিতার ফলে গ্রামবাসীদের মাথাপিছু আয় ৫ হাজার ইউয়ান ছাড়িয়ে গেছে।
তৃতীয় গল্প, গ্রাম পুনরুজ্জীবনের গল্প।
থান চ্য ইউং বলেন, “ফল চাষ খাত এখন ভালভাবে এগিয়ে চলছে। তবে তার মানে নয় যে আমদের আর এগিয়ে যাবার কোন দরকার নেই। কৃষি, প্রাকৃতিক দৃ্শ্য ও সংখ্যালঘু জাতির বৈশিষ্ট্যের সমন্বয়ে আমরা আরও বেশি অর্থনৈতিক মূল্য সৃষ্টি করতে পারি। আমরা কৃষি ও পর্যটনের সমন্বয়ের সম্ভবনা সন্ধান করি। এর প্রেক্ষাপটে আমরা এ গবেষণা ও লেখাপড়া বেইস প্রতিষ্ঠা করি। এ বেইসের পাশে আমাদের ফলবাগান এবং ছাত্রছাত্রীরা এখানে কৃষি কাজের অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারেন।
ছয় মাসের মধ্যে মোট ১ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ এখানে এসেছে। গবেষণা ও লেখাপড়া ছাড়া ক্যাম্প ও গ্রামীণ হোটেলের ব্যবস্থাও চালু হয়েছে। যারা গ্রামে আসে পারিপারিক হোটেল বা ক্যাম্পে থাকতে পারে।
ছোট এ গ্রামের পরিবর্তনে প্রতিফলিত হয় চীনা গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনের নতৃন দৃশ্য। থান চ্য ইউং বলেন, প্রাকৃতিক পরিবেশ ও উন্নয়নের প্রবাহ অনুযায়ী নিজের গ্রামের জন্য উপযোগী উন্নয়নের পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হলো গ্রাম পুনরুজ্জীবন বাস্তবায়নের সবচেয়ে ভাল উপায় এবং আমি বিশ্বাস করি আমাদের জীবন আরও সুন্দর ও ভাল হবে।
সুপ্রিয় বন্ধুরা, এ প্রতিবেদনে চীনের হু নান প্রদেশের নানা জায়গায় উন্নয়নের কথা জানিয়েছি। ক্যাটারিং, নির্মাণ শিল্প, পর্যটন শিল্প ও গ্রাম পুরুজ্জীবন - এ গল্পগুলোর মাধ্যমে আপনারা চীনের উন্নয়নের ধারণা কিছুটা হলেও পাবেন বলে আশা করি।