দেহঘড়ি পর্ব-৭১
গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার ভীষণ ক্ষতিকর
মাত্রাতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সেবনে ক্যানসারসহ নানা জটিল রোগের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের ব্যবহার বন্ধে তাই নীতিমালা প্রয়োজন বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন চিকিৎসকরা। মাত্রাতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের খাদ্যাভাস পরিবর্তন এবং জীবনাচরণ পরিবর্তনের মাধ্যমে ক্যানসারসহ নানা জটিল রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। মোবাইল ফোনে অতিমাত্রায় আসক্তি ও অতিরিক্ত ফাস্ট ফুডজাতীয় খাবার গ্রহণের ফলে নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হচ্ছে।
অভি/রহমান
## ভুলের ভুবনে বাস
যক্ষ্মা হলে রক্ষা নেই, এ কথার ভিত্তি নিই
যক্ষ্মা বিশ্বের ১০টি প্রধান মরণব্যাধির একটি। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি বড় জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বের যে ৩০টি দেশে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা সর্বাধিক, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। যক্ষ্মা একটি ব্যাক্টেরিয়াবাহিত রোগ। শ্বাসযন্ত্রে মাইক্রোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস নামক ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণে এ রোগ হয়। করোনাভাইরাসের মতো এ ব্যাক্টেরিয়াও বাতাসে ভেসে বেড়ানো ড্রপলেটের মধ্যে দিয়ে শরীরে সংক্রমিত হয়। একজনের হাঁচি-কাশি থেকে দ্রুত এটি অন্যের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। যক্ষ্মা রোগ নিয়ে মানুষের মধ্যে রয়েছে বেশ নানা ভ্রান্ত ধারণা। আজ আমরা আলোচনা করবো এমন কয়েকটি ভুল ধারণা সম্পর্কে।
যক্ষ্মা কি কেবল ফুসফুস সংক্রমিত করে?
যক্ষা কেবল ফুসফুসকে সংক্রমিত করে না; শরীরের অন্যান্য অঙ্গ যেমন কিডনি, মস্তিষ্ক, হাড় ও মেরুদণ্ডেও এ ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে লক্ষণ এবং উপসর্গ ভিন্ন হয়। ফুসফুসের বাইরে যে যক্ষ্মা হয় তাকে এক্সট্রাপালমোনারি টিউবারকিউলোসিস বলা হয়।