দেহঘড়ি পর্ব-৭১
"দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে স্বাস্থ্যখাতের একটি প্রতিবেদন, স্বাস্থ্য বুলেটিন, স্বাস্থ্যগত ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে আলোচনা ‘ভুলের ভুবনে বাস’, সাক্ষাৎকার-ভিত্তিক আয়োজন ‘আপনার ডাক্তার’ এবং খাদ্যের গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা ‘কী খাবো, কী খাবো না’।
#প্রতিবেদন
মাঙ্কিপক্সে উদ্বিগ্ন বিশ্ব
বিশ্বে যখন করোনাভাইরাসের দাপট শুরু হয় তখন এতে আক্রান্ত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। মৃত্যুও হয়েছে অসংখ্য মানুষের। ফলে এটা নিয়ে আতংক ছড়ানোটাই স্বভাবিক ছিলো এবং হয়েছেও তাই; করোনা ছড়িয়েছে বিশ্বব্যাপী। কিন্তু এর বিপরীতে এখন পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ১০০ ছাড়িয়েছে। অথচ এরইমধ্যে এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে পুরো বিশ্ব।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, এবার মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপের দেশগুলোতে। এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও ইসরায়েলেও মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন অনেক মানুষ।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও’র প্রধান তেড্রোস গেব্রেইয়েসুস
বলেছেন, মাঙ্কিপক্স নিয়ে বিশ্ব ‘ভয়াবহ’ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। আফ্রিকার বাইরে এক ডজনেরও বেশি দেশে মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব নিয়ে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞদের আলোচনায় এই সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন তিনি।
মাংকিপক্স মূলত বাংলাদেশে বহুল পরিচিত চিকেন পক্স এবং গুটি বসন্তের মতোই একটি ভাইরাস। এটি প্রথম পাওয়া যায় ১৯৫০ সালে আফ্রিকায় বানরের মধ্যে। পরে এটি ইঁদুর, কাঠবেড়ালের মতো অন্যান্য বণ্যপ্রাণীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। আরও পরে আসে মানুষের মধ্যে। তবে এর বিস্তার ছিল মূলতঃ মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকায়। আফ্রিকার বাইরে কিছু দেশের অনেকেই মাংকিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে সেটা তখনি হয়েছে যখন তারা মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকায় ভ্রমণ করেছেন কিংবা মাংকি পক্সে আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছেন।