চীনের অন্যতম সেরা শিক্ষক অধ্যাপক ফাং হুয়া ছানের গল্প
বস্তুত, যে কোনো কাজ সম্পন্ন করতে চাইলে, তার জন্য কোনো সহজ পথ নেই। কেবল পরিশ্রম ও সংগ্রামের মাধ্যমে তা করা যায়। পরিশ্রমের সাথে সংগ্রাম করা এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা অগ্রগতি অর্জনের পূর্বশর্ত।
তবে সবাই জানেন, প্রতিটি সাফল্যের পিছনে অনেকের প্রচেষ্টা ও সংগ্রামের কাহিনী রয়েছে। ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর চীনের গভীর জলে মানববাহী সাবমার্সিবল সাফল্যের সঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে গভীর মারিয়ানা ট্রেঞ্চ ১০৯০৯ মিটার নিচে নেমে নতুন বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টি করে। বস্তুত, মারিয়ানা ট্রেঞ্চের ১০ হাজার মিটার গভীরে পানির চাপ ১১০ এমপিএ ছাড়িয়ে যায়। এ চাপ যেন ২০০০টি হাতির একসাথে মানুষের পিঠে পদদলনের সমান। তখন সাবমার্সিবলে মোট ৩ জন গবেষক ছিলেন, যারা নিজেদের জীবন উত্সর্গের প্রস্তুতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামের পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। কারণ, নতুন তৈরি টাইটানিয়াম খাদ শেল চাপ সহ্য করার দক্ষতা বিশ্বের অন্যান্য দেশের শ্রেষ্ঠ সাবমার্সিবলের দৃঢ়তার চেয়ে ৮ গুণ বেশি। এ নতুন কাঁচামালের গবেষণা ব্যাপক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্মীদের প্রচেষ্টা ও সংগ্রামের সাথে জড়িত। তারাও অধ্যাপক ফাংয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শিক্ষার্থী।
‘সত্যতা, কঠোর পরিশ্রম, দেশপ্রেম ও উত্সর্গ, অগ্রগামী ও উদ্ভাবনী থেকে সত্য সন্ধান করা’ চীনের পেট্রোলিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্লোগান। সিনচিয়াং ক্যলামা’ই মরুভূমি এলাকায় পেট্রোলিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস স্থাপনের কাজে অধ্যাপক ফাংও যোগ দিয়েছেন।
তিনি স্মরণ করে বলেন, ১৯৫৩ সালে পেট্রোলিয়াম একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়। গত শতাব্দীর ৬০-এর দশকে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী তাছিং তেলক্ষেত্রে গিয়ে তেল অনুসন্ধানকাজে অংশ নেন। ১৯৬৫ সালে বেইজিং পেট্রোলিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্নাস শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ১২ হাজারের বেশি ছিল। ১৯৬৫ সালে জাতীয় জরিপ থেকে জানা গেছে, চীনের বিভিন্ন তেলক্ষেত্রের প্রায় ৭০ শতাংশ প্রযুক্তিকর্মী ও ৫০ শতাংশ প্রকৌশলী এ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শিক্ষার্থী ছিলেন।