চীনের অন্যতম সেরা শিক্ষক অধ্যাপক ফাং হুয়া ছানের গল্প
তিনি আরও লেখেন, “যুব শিক্ষার্থীরা যেন সকাল ৮টা, ৯টার সূর্যের মতো প্রাণবন্ত। তোমরা দেশের উন্নয়নের চালিকাশক্তি। নতুন যুগে তোমাদেরকে জাতীয় উন্নয়ন ও পুনরুত্থানে নিজেদের আরও বেশি অবদান রাখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালের পড়াশোনার মাধ্যমে আরও পরিশ্রম ও সাহসের সাথে নিজেদের দক্ষতা চর্চা করবে, যাতে স্নাতক হওয়ার পর একজন শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী ও দেশের জন্য কল্যাণকর ব্যক্তিতে পরিণত হতে পারো।”
তিনি আরও লিখেছেন, “যারা নিজেদের কাজের ব্যাপারে আশাবাদী, তাঁরা পরিশ্রমের মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করতে পারে। তাই, প্রত্যেক যুবশিক্ষার্থীর উচিত আশাবাদী হওয়া ও আদর্শ ধারণ করা। আদর্শ ছাড়া কোনো দিকনির্দেশনা থাকবে না, জীবনযাপনে কোনো লক্ষ্যমাত্রাও থাকবে না। যুবশিক্ষার্থীরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়, তখন তাদের জীবন নতুন সময়পর্বে প্রবেশ করে। বড় হওয়ার পর কী ধরনের মানুষ হতে চায়, এ বিষয় নিয়ে ভেবে দেখতে হবে।”
১৯৬০ সালে বেইজিং পেট্রোলিয়াম একাডেমির একটি জরিপ দল নিয়ে তাছিং তেলক্ষেত্রে গিয়ে স্নাতক শিক্ষার্থীদের কাজের মান তদন্ত করেন অধ্যাপক ফাং। তখন বেইজিং পেট্রোলিয়াম একাডেমির স্নাতক শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রশংসা পায়। তাঁরা পরিশ্রম ও মনোযোগ দিয়ে এবং দেশপ্রেম ও নিঃস্বার্থ মনোভাব নিয়ে নিজেদের গবেষণাকাজ করছিল। তাই, যুবশিক্ষার্থীদের শুরুর দিকে স্পষ্ট আদর্শের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে উত্সাহ দেন তিনি।
শিক্ষার্থীরা কী ধরনের মানুষ হতে চায়? কিভাবে দেশের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ ব্যক্তিতে পরিণত হওয়া সম্ভব? এ সম্পর্কে অধ্যাপক ফাং চিঠিতে একজন সেরা ব্যক্তির উদাহরণ দিয়েছেন। তাঁর নাম ওয়াং ছি মিন, যিনি ১৯৬১ সালে বেইজিং পেট্রোলিয়াম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন এবং চীনের তাছিং তেলক্ষেত্রে তেল অনুসন্ধান কাজে অংশ নিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে তাছিং তেলক্ষেত্রে টানা ২০ বছর ধরে বার্ষিক তেল উত্পাদনের পরিমাণ ৫ কোটি টনে দাঁড়ায় এবং বিশ্বের তেলক্ষেত্র অনুসন্ধান খাতে বিস্ময়কর রেকর্ড সৃষ্টি হয়। তিনি চীনের নতুন যুগে তেল অনুসন্ধানকারীদের জন্য দৃষ্টান্তে পরিণত হন।