চীনে প্রবীণদের পরিষেবা দিচ্ছে ক্রমবর্ধমান যুব-কর্মী
চলিত বছরের জুলাই মাসে এসব শিক্ষার্থী স্নাতক ডিগ্রি পাবেন। তাঁরা চীনা প্রবীণদের পরিষেবা ও যত্ন নেওয়ায় কী কী ভুমিকা পালন করবেন? এ বিষয়ে ছাত্রী লিউ চিয়া ইয়ুন বলেন, প্রবীণদের দেখাশোনা বিষয়ের পড়াশোনা ধীরে ধীরে চালু হয়। সর্বপ্রথমে তাদেরকে চীনের প্রবীণদের যত্ন নেওয়ার অবস্থা সম্পর্কে জানানো হয়। তারপর, সংশ্লিষ্ট নীতিমালা ও পেনশন সংস্থার পরিচালনাপদ্ধতিসহ বিভিন্ন বিষয় পড়ানা হয়।
‘চিকিত্সা ও দীর্ঘকালীন নার্সিং বীমা’ অনার্স কোর্সের মধ্যে একটি বিষয়। এটি ছাত্রী লিউ’র মনে গভীর দাগ কেটেছে। কারণ, ২০১৮ সালের শুরুর দিকে শাংহাই মহানগরে ‘চিকিত্সা ও দীর্ঘকালীন নার্সিং বীমা’ পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়। পরে, সংশ্লিষ্ট নীতিমালা ও ব্যবস্থা ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে। এর মানে, শিক্ষার্থীরা ক্লাসে সংশ্লিষ্ট বিষয় পড়ার পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট নীতিমালা ও ব্যবস্থা গড়ার কাজেও অংশ নেয়। শিক্ষকরা চীনের বিভিন্ন প্রদেশের অবস্থা ও পেশাদার গবেষণার ফলাফল সংগ্রহ করে, ছাত্রছাত্রীদের পড়ান এবং শাংহাই মহানগরের সংশ্লিষ্ট বীমার জরিপ প্রকল্পে অংশ নেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
তা ছাড়া, বিভিন্ন ক্লাসের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারশিপের সুযোগ সৃষ্টির চেষ্টা করেন। যেমন, শাংহাই মহানগরের বিভিন্ন পেনশন সংস্থায় মৌলিক নার্সিং কাজ করা এবং ধীরে ধীরে নার্সিং ব্যবস্থাপনার কাজের দায়িত্ব পালন করা, ইত্যাদি। ছাত্রী লিউ একটি বেসরকারি পেনশন প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পেয়েছেন। শুরুর দিকে তার দৃষ্টিতে এ প্রতিষ্ঠানের সরঞ্জাম ছিল উন্নত এবং প্রবীণদের বসবাস এলাকাও আরামদায়ক। তবে, ধীরে ধীরে তিনি বুঝতে পারেন যে, প্রবীণদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন চাহিদা মেটানো আরও জরুরি।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষে গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে ছাত্রী লিউ চিয়া ইয়ুন দুটি প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পান। একটি হল আবাসিক কমিউনিটির বহুমুখী পরিষেবা কেন্দ্র এবং আরেকটি হল প্রবীণদের খাবার পরিষেবার প্রতিষ্ঠান। দুটি ভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পাওয়া সম্পর্কে লিউ বলেন, তাঁর পড়াশোনার বিষয় অনেকের কাছে অপরিচিত মনে হতে পারে, তবে এটি আকর্ষণীয়। এখানে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ।