চীনে প্রবীণদের পরিষেবা দিচ্ছে ক্রমবর্ধমান যুব-কর্মী
বর্তমানে, স্থানীয় প্রবীণদের পরিষেবাকেন্দ্রে মোট ৪৫ জন প্রবীণ রয়েছেন। তাদের শারীরিক অবস্থা তেমন একটা ভালো না। অনেকে নিজের যত্ন নিতে পারেন না। তাই, পেশাদার চিকিত্সক ও নার্সিং কর্মীরা তাদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যরেকর্ড তৈরি করেছেন। বিস্তারিতভাবে প্রত্যেক প্রবীণের শারীরিক অবস্থা জেনে নেওয়া এর লক্ষ্য। এ পরিষেবাকেন্দ্রের নার্সিং বিভাগের প্রধান চেং সিয়ং লি বলেন, বর্তমানে তাদের পেশাদার কর্মীর সংখ্যা ৫৫ জন। ২৬ বছর বয়সী চেং সিয়ং লি ২০২০ সালে স্নাতক হওয়ার পর থেকে এখানে কাজ করা শুরু করেন। তিনি প্রবীণদের পরিষেবা ও যত্ন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। প্রবীণদের ভালো করে দেখাশোনা ও যত্নে প্রতিবছর তিনি দুই থেকে তিনবার পেশাদার প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নেন। প্রশিক্ষণের বিষয় বয়স্কদের খাবার, শরীর পরিষ্কার, বিনোদন ও পুনর্বাসন, ইত্যাদি। প্রশিক্ষণ গ্রহণের কারণে তাঁর নার্সিং-দক্ষতা অনেক উন্নত হয়েছে এবং পরিষেবাকেন্দ্রের প্রবীণরা তাঁকে বেশ পছন্দ করেন।
নিজের কাজ সম্পর্কে চেং বলেন, বয়স্কদের যত্ন নেওয়া এবং তাদের দেখাশোনার বিষয় এখন চীনা সমাজে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। বয়স্কদের পরিষেবা শিল্পে কর্মসংস্থানের সুযোগও দ্রুত বাড়ছে।
২০২০ সালে কাওখাও পরীক্ষায় পাস করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘প্রবীণদের যত্ন নেওয়া’ বিষয়টিকে পড়াশোনার মেজর হিসেবে বেছে নেন শিক্ষার্থী লিউ চিয়া ইয়ুন। তখনই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স কোর্সে প্রথমবারের মতো এমন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরে, তিনি শাংহাই প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগে ভর্তি হন এবং টানা ৪ বছর পড়াশোনা ও ইন্টারশিপ করার পর, শাংহাই মহানগরের প্রবীণদের পরিসেবা পরিষদে চাকরি পান।
চীনে ক্রমবর্ধমান প্রবীণদের স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলায়, ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বয়স্কদের দেখাশোনা ও যত্ন নেওয়ার বিষয় যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শাংহাই প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও শাংতং নারী একাডেমি, চীনে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এমন বিভাগ চালু করে। দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বয়স্কদের পরিষেবা ও যত্ন নেওয়া বিষয়ে মোট ১০০ জন অনার্স শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।