চীনে প্রবীণদের পরিষেবা দিচ্ছে ক্রমবর্ধমান যুব-কর্মী
চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালের শেষ দিকে চীনে ৬০ বছরেরও বেশি বয়সী প্রবীণের সংখ্যা দেশের মোট জনসংখ্যার ২১.১ শতাংশে দাঁড়ায়। অন্যভাবে বললে, চীন ‘মাঝবয়সী সমাজ’ পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে চীনের বেসামরিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ ১২টি সরকারি বিভাগ যৌথভাবে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এতে চীনে প্রবীণদের যত্নসংশ্লিষ্ট কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন এবং বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে প্রবীণদের যত্নসংশ্লিষ্ট পরিষেবায় দক্ষ শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণব্যবস্থা জোরদার করাসহ বিভিন্ন প্রস্তাব দেওয়া হয়।
বস্তুত, চীনে প্রবীণদের যত্ন পরিষেবা শিল্পের যাত্রা ১০ বছর আগে। চীনা সমাজের বৈশিষ্ট্য ও চাহিদা বিবেচনা করে, প্রবীণদের আরও ভালো যত্ন পরিষেবা দিতে সক্ষম এই শিল্প। তবে, সমাজের দ্রুত উন্নয়ন আর প্রবীণদের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির সাথে সাথে, সংশ্লিষ্ট পরিষেবার চাহিদাও বাড়ছে এবং এতে বৈচিত্র্যও আসছে। তাই, প্রবীণদের যত্ন পরিষেবায় দক্ষ ব্যক্তিদের কাজের মানও উন্নত করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
২০২০ সালের মার্চ মাসে চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে শানতুং নারী কলেজ আর শাংহাই প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবীণদের যত্ন পরিষেবার মেজর কোর্স চালু হয় এবং একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে এ দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষার্থীদের ভর্তি করে। চলতি বছরের গ্রীষ্মকালে এ দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণদের যত্ন পরিষেবা বিভাগের শিক্ষার্থীরা স্নাতক ডিগ্রি পাবে এবং তাঁদের কর্মজীবন শুরু হবে।
চীনের কুইচৌ প্রদেশের ছিয়ানতুংনান মিয়াও আর তুং জাতির অধ্যুষিত এলাকার রংচিয়াং জেলা দরিদ্র ছিল। স্থানীয় যুবক-যুবতীদের অধিকাংশই অন্য শহরে গিয়ে চাকরি নিত। ফলে, সেখানকার প্রবীণদের বাসায় একা একা জীবন কাটাতে হতো। তবে, ধীরে ধীরে স্থানীয় প্রবীণদের যত্নে পরিষেবাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এখানে প্রবীণদের নার্সিং, যত্ন নেওয়া ও চিকিত্সাসহ বিভিন্ন পরিষেবা দেওয়া হয়। এখানে বিভিন্ন চিকিত্সা সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি পাওয়া যায়; চিকিত্সকরা আন্তরিকভাবে প্রবীণদের দেখা-শোনা করেন।