আরশান গ্রামাঞ্চলের শিল্পকলা ও পর্যটনশিল্প
অতীতে সিখৌ গ্রামে কোনো পর্যটক আসতো না। পর্যটনের সাথে জড়িত কোনো আয়ও ছিল না। চলতি বছর এখন পর্যন্ত পর্যটকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজারে। তৃতীয় প্রান্তিকে সিখৌ গ্রামের আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ শতাংশ বেড়েছে।
সিখৌ গ্রামের গ্রামবাসী, স্থানীয় উইলো বয়ন শিল্পী তুং লি মেই বাড়িতে একটি বিশেষ ঘর আলাদা করে তাঁর শিল্পকর্ম প্রদর্শন করেন। এ ঘরে উইলো দিয়ে তৈরি প্লেট, বাস্কেট ও টুপিসহ বিভিন্ন শিল্পকর্ম দেখা যায়। তিনিও ‘আগের বছরের চেয়ে টাকা বেশি’ শিল্পকর্মের ডিজাইন-কাজে অংশ নিয়েছেন। কখনো ভাবেননি যে, তাঁর হস্তশিল্পকর্ম একদিন সত্যিকারের শিল্পকর্মে পরিণত হবে। চীনের বিভিন্ন এলাকার পর্যটকরা সিখৌ গ্রামে এসে উইলো হস্তশিল্পকর্ম দেখেন, যা তাঁর জন্য বেশ গর্বের ব্যাপার।
আরশান গ্রামাঞ্চলের শিল্পকলা উত্সব কেবল গ্রামে শিল্পের আমেজ গড়ে তুলেছে তা নয়, বরং গ্রামবাসীদের আয় বাড়িয়েছে। গ্রামবাসী তুং লি মেই’র উইলো শিল্পকর্ম জনপ্রিয় হওয়ার পর তিনি অনলাইন আর অফলাইনে শিল্পকর্ম বিক্রি করছেন। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে তাঁর আয় ১০ হাজার ইউয়ান ছাঁড়িয়ে গেছে।
সি খৌ গ্রামের পরিবর্তন গ্রামের সিপিসি’র সম্পাদক ইয়াং চি ছেংয়ের জন্য বেশ উত্সাহব্যাঞ্জক ব্যাপার। তাঁর পরিকল্পনা স্থানীয় প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণের ভিত্তিতে যথাযথভাবে পর্যটন শিল্প উন্নয়ন করা, যাতে গ্রামবাসীদের সুখী জীবনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা যায়।
এ গ্রামের শিল্পকলা উত্সব আরেকটি সুখবর বয়ে এনেছে। অতীতে সিখৌ গ্রামে কেবল বয়স্ক গ্রামবাসীরা বসবাস করতেন। পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের ফলে এখন অনেক যুবক গ্রামে ফিরে এসে গ্রামীণ হোটেল চালু করছেন। বছরের চার ঋতুতে আরশানের সুন্দর দৃশ্যে বৈচিত্র্য দেখা যায়। শীতকাল আসছে, সিখৌ গ্রামের ‘বরফ উত্সব’ অল্প সময়ের মধ্যে শুরু হবে। স্থানীয়ভাবে স্কেটিংয়ের স্থান নির্মাণ করা হবে।