বাংলা

আরশান গ্রামাঞ্চলের শিল্পকলা ও পর্যটনশিল্প

CMGPublished: 2023-11-20 15:35:43
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

শুরুর দিকে শিল্পকর্ম নিয়ে গ্রামবাসীদের মনে সন্দেহ ছিল। তাদের সন্দেহ দূর করতে ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পকলা দল সর্বপ্রথমে ‘মাটি শিল্পের’ বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। ‘মাটি শিল্প’ মানে শিল্পীরা স্থানীয় প্রাকৃতিক পরিবেশের অবস্থা বিবেচনা করে বহু ধরনের শিল্প ডিজাইন করেন। এভাবে গ্রামের মানুষ সহজে প্রকৃতি ও মানবজাতির সম্পর্ক বুঝতে পারেন। ডিজাইনার ওয়েন পো আরও বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য হল শিল্পকলা ডিজাইনের মাধ্যমে স্থানীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়া, যাতে আরও বেশি পর্যটক আকর্ষণ করে স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়নে ইতিবাচক ভুমিকা রাখা যায়।”

ছিংহুয়া শিল্পকলা একাডেমির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক গ্রামবাসীদের ওপর টানা ৬ বার জরিপকাজ চালান এবং তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তথ্য আদান-প্রদান করেন। শুরুর দিকে গ্রামবাসীরা কেবল অর্থনৈতিক স্বার্থের ওপর গুরুত্ব দিত। শিল্পকলা উত্সব গ্রামের জন্য কী কী সুবিধা বয়ে আনতে পারে—সেই বিষয় নিয়ে তাদের মনে ব্যাপক সন্দেহ ছিল। তবে, কয়েকবারের আলাপ-আলোচনার পর গ্রামবাসীদের চিন্তা-চেতনায় ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসে; তাদের সন্দেহ পরিবর্তিত হয় সমর্থনে।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত আরশান গ্রামাঞ্চলের শিল্পকলা উত্সবের বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক কাজ সম্পন্ন হয়। এক বছরে ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পকলা একাডেমির প্রায় ২০০ জন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সিখৌ গ্রামে এসে শিল্পকর্ম সৃষ্টি করেন।

প্রথমবার সিখৌ গ্রামে আসা ছাত্রছাত্রীরা অনেক অজানা সমস্যার সম্মুখীন হন। শিল্পকর্ম তৈরিতে কাঠসহ বিভিন্ন কাঁচামাল লাগে। সেগুলো বহন করে আনতে হয়। অনেক ছাত্রছাত্রী ট্রাইসাইকেল চালাতে পারে না। তবে, ধীরে ধীরে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে ট্রাইসাইকেল চালানো শিখে ফেলে তাঁরা।

首页上一页12345...全文 6 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn