চীনের তাইওয়ান প্রদেশের স্বেচ্ছাসেবক কর্মীদের সাইকেল-যাত্রা
উহান শহরের এক প্রাথমিক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী উ হাও ইয়ু গরমের ছুটিতে বাবা-মায়ের কাছে রান্না শেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গ্রীষ্মকালের লিখিত হোমওয়ার্ক ছুটি শুরুর কয়েকদিনের মধ্যে শেষ করেছে ছেলে উ। এখন ছুটির বাকি দিনগুলোতে আরও বেশি ঘরের কাজ শেখা ও শরীরচর্চা করার পরিকল্পনা করেছে সে।
চুংসিয়াং শহরের বিভিন্ন প্রাথমিক স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের গরমের ছুটিতে চীনা ভাষা, গণিত ও ইংরেজি হোমওয়ার্কের পাশাপাশি নৈতিকতার চর্চা, খেলাধুলা, নান্দনিক প্রশিক্ষণ ও শ্রমের অনুশীলনও দেওয়া হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা স্বেচ্ছাসেবকের কাজে অংশ নিতে পারে, দৌড়াদৌড়ি ও ফুটবল খেলতে পারে, সুবিখ্যাত ও জনপ্রিয় শাস্ত্র ও উপন্যাস পড়তে পারে এবং বিভিন্ন পেশার কাজও চর্চা করতে পারে।
গ্রীষ্মকালীন ছুটির আগে চীনের কুয়াংচৌ শহরের একটি মাধ্যমিক স্কুলে পিতামাতাদের মিটিং আয়োজিত হয়। তাতে ছাত্রছাত্রীদের গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে কয়েকটি কাজ নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়, যেমন: বই পড়া, ক্যালিগ্রাফি চর্চা, পাহাড়ে আরোহন, রান্না শেখা, ইত্যাদি। এভাবে পিতামাতাদের কাছে ছুটির ধারণা পরিবর্তন হয়েছে।
চীনের বিভিন্ন প্রদেশ ও শহর ঘুরে জানা গেছে, এখন আর বাচ্চারা ছুটির দিনে বাসায় বসে হোমওয়ার্ক করে না, বরং বাইরে খেলাধুলা করে ও চারুকলা চর্চা করে।
উহান শহরের মেয়ে মা রুই ইউয়ে সকাল সাড়ে আটটায় মায়ের সাথে প্রশিক্ষণ-মাঠ ত্যাগ করে। তাঁর বয়স মাত্র ৬ বছর। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সে প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি হবে। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে স্কুলে ভর্তির আগে এ গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে সে নৃত্য, ব্যাডমিন্টন, ‘ওয়েছি’সহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে। এ সম্পর্কে তার মা বলেন, “এমন প্রশিক্ষণ ক্লাস তার শখের ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছে। আশা করি, বড় হওয়ার পর তাঁর নিজের শখগুলো অপরিবর্তিত থাকবে।”