চীনের তাইওয়ান প্রদেশের স্বেচ্ছাসেবক কর্মীদের সাইকেল-যাত্রা
জুলাই মাসে চীনের সিয়ামেন শহরে অনেক গরম পড়ে। এই গরমে একদল সাইক্লিস্ট সিয়ামেন শহরের তাতেং দ্বীপ থেকে লম্বা সাইকেল-যাত্রা শুরু করেন। ২০ জনের দলটির ১৭ জন চীনের তাইওয়ান প্রদেশের। তারা চীনের দুই তীরের সাংস্কৃতিক বিনিময় অনুষ্ঠানের অতিথি হিসেবে সিয়ামেনে সফর করতে আসেন। কেন সাইকেল চালিয়ে চীন ভ্রমণ করেন তাঁরা? আজকের অনুষ্ঠানে এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করব আমরা।
২০১১ সালে তাইওয়ান প্রবাসী ইয়াং মিন চুং হাংচৌ শহরে একটি পরামর্শক কোম্পানি চালু করেন। তিনি কেবল পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন, তা নয়; বরং সামাজিক দাতব্য কার্যক্রমেও ব্যাপক আগ্রহী তিনি। হাংচৌ থেকে তাইওয়ান প্রদেশে ফিরে যাওয়ার পর তিনি তাইওয়ান প্রদেশের চাংহুয়া জেলার একটি অনাথ আশ্রমে যান। সেখানকার বাচ্চারা সাইকেল চালাতে বেশ পছন্দ করে। এ স্মৃতি স্মরণ করে ইয়াং বলেন, বাচ্চাদের পিতামাতা না-থাকলেও, তারা আত্মনির্ভরশীল। সাধারণত তারা সাইকেল চালিয়ে নানান এলাকায় যায়, বাতাস ও বৃষ্টি থাকলেও বাসে উঠতে চায় না। চীনের মূলভূভাগ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করে বাচ্চারা। তাই তাদের মূলভূভাগে সাইকেল চালিয়ে আসার স্বপ্নপূরণে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন ইয়াং।
২০১২ সালের গ্রীষ্মকালে ইয়াং মিন চুং এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা ৩৫ জন কিশোর-কিশোরী নিয়ে সাফল্যের সঙ্গে সাইকেল-যাত্রা সম্পন্ন করেন। এই যাত্রার অংশ হিসেবে তারা তাইওয়ান প্রদেশ থেকে মূল ভূভাগে আসে এবং বেইজিং থেকে সিয়ামেন পর্যন্ত যাত্রাও শুরু করে।
এ অভিজ্ঞতা স্মরণ করে ইয়াং বলেন, প্রথম দলে মোট ৭৫ জন ছিল। টানা ৪০ দিন ধরে ৩২০০ কিলোমিটারেরও বেশি পথ সাইকেল চালিয়েছে তারা। সেটি বেশ চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার ছিল। যাত্রার ব্যয় কমাতে সবাই যার যার সাইকেলের যত্ন নেয়। তবে যাত্রাপথে তাদের থাকা-খাওয়ার বিষয়ে আপষ করতে হয়। তবে বাচ্চারা কেউ অসন্তোষ প্রকাশ করেনি। বরং নানান সমস্যা মোকাবিলা করে তাদের যাত্রা সম্পন্ন করে।