চীনের তাইওয়ান প্রদেশের স্বেচ্ছাসেবক কর্মীদের সাইকেল-যাত্রা
অনেক বাচ্চা যারা স্কুলের পড়াশোনা পছন্দ করে না বা আত্মনিয়ন্ত্রণে দুর্বল, তাদের অনেকে সাইকেল-যাত্রার মাধ্যমে মানসিক অবস্থার ব্যাপক উন্নতি ঘটিয়েছে। তাদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ অনেক বেড়েছে।
এ সম্পর্কে শিক্ষক ইয়াং বলেন, “সাইকেল চালিয়ে দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করা আমাদের সাইকেল-যাত্রার মূল উদ্দেশ্য নয়, বরং এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আত্মউন্নয়ন করাই আসল উদ্দেশ্য।” কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ‘সাইকেল যাত্রা’ প্রকল্পের অনলাইন অনুষ্ঠানও নিয়মিতভাবে আয়োজিত হয়।
চলতি বছর চীনের সিছুয়ান প্রদেশের লিয়াংশান অঙ্গরাজ্য এবং কানজি অঙ্গরাজ্যের অবস্থানরত দুটি প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সাথে দেখা করার পরিকল্পনা করেছেন শিক্ষক ইয়াং। এভাবে দুই তীরের পাহাড়াঞ্চলের বাচ্চারাও সাইকেল-যাত্রার আমেজ উপভোগ করতে সক্ষম।
‘দ্বৈত হ্রাস নীতি’ চালুর এক বছরে বাচ্চাদের গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে নতুন পরিবর্তন
বর্তমানে চীনা ছাত্রছাত্রীদের গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলছে। গত বছরের জুলাই মাসে সারা চীনে বাচ্চাদের পড়াশোনা ও স্কুলের বাইরে অতিরিক্ত ক্লাসের চাপ কমিয়ে দিতে ‘দ্বৈত হ্রাস নীতি’ চালু হয়। নতুন নীতি চালুর পর এ বছরের গ্রীষ্মকালীন ছুটি কেমন চলছে? সংবাদদাতারা বিভিন্ন প্রদেশের ছাত্রছাত্রীদের সাথে কথা বলেছেন এ ব্যাপারে। আগের তুলনায় এখন তারা গরমের ছুটিতে বেশি মজা করতে পারছে।
চীনের হুপেই প্রদেশের চুংসিয়াং শহরের একটি প্রাথমিক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী ওয়াং হাও নুওয়ের ছুটি কাটছে গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি আনন্দে। চীনা ভাষা ও গণিতসহ বিভিন্ন ক্লাসের হোমওয়ার্ক অনেক কমে গেছে এবং বিভিন্ন সামাজিক অনুশীলন বা শ্রমের কাজ বেশি হয়েছে। বাবা-মায়ের সাথে ঘরের কাজ করা ও খেলাধুলার ছবি বা ভিডিও তুলে সহপাঠীদের সাথে অনলাইনে শেয়ার করা তার জন্য খুবই মজার ব্যাপার।