চীনের তাইওয়ান প্রদেশের স্বেচ্ছাসেবক কর্মীদের সাইকেল-যাত্রা
যখন তাইওয়ান প্রদেশের বাচ্চারা বেইজিংয়ের মহাপ্রাচীরে এসে দাঁড়ায়, তখন আনন্দের সাথে চিত্কার করে তারা বলে, ‘আমারাও সাহসী মানুষ হতে পেরেছি!’ বার্ডনেস্ট দেখে ২০০৮ সালের অলিম্পিকের স্মৃতিও তাদের চোখের সামনে ভাসে। যদিও সাইকেলযাত্রা অনেক ক্লান্তিকর ব্যাপার, তবে বাচ্চারা এমন কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজেদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেয়।
স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষক ইয়াং মিন চুংও নিজের স্বপ্ন পূরণ করেছেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘তাইওয়ান প্রদেশের বাচ্চাদের নিয়ে এই সাইকেল-যাত্রা তাদের জীবনকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। মূল ভূভাগের স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে গভীর মৈত্রীর সম্পর্কও সৃষ্টি হয়েছে। আমার কাজ বেশ তাত্পর্যপূর্ণ ছিল।”
সমাজের বিভিন্ন মহলের উদ্যোগ ও সাহায্যে চলতি বছর সাইকেল-যাত্রার এই কার্যক্রম দশম বছরে পড়েছে। গত ১০ বছরে তাইওয়ানের ৫৫০ জন কিশোর-কিশোরী এবং ৩৭০ জন দরিদ্র্য পরিবারের বাচ্চা সাইকেল-যাত্রা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে। যাত্রাপথে তারা তাইওয়ান প্রণালীর দুই তীরের ৫৫টি শহর ভ্রমণ করেছে; অতিক্রম করেছে মোট ১২ হাজার কিলোমিটার পথ।
বর্তমানে এ প্রকল্পের সাথে চীনের মূল ভূভাগের ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমিতি ও সাইকেল পরিষদের মাধ্যমে প্রতিবছর নতুন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়। ছাত্রছাত্রীরা আন্তরিকতা ও আবেগ নিয়ে এ কাজে অংশ নেয়। স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যা ৮০০ জনে দাঁড়িয়েছে।
মেয়ে ওয়াং ওয়ান পিন চীনের মূল ভূভাগের একজন স্বেচ্ছাসেবক। তিনি টানা তিন বছর ধরে সাইকেল-যাত্রা প্রকল্পে অংশ নিচ্ছেন। এ কার্যক্রমের আওতায় অনেক তাইওয়ানবাসী বন্ধুর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সময় কাটিয়েছেন তিনি। সেটি তাঁর কাছে অনেক মুগ্ধকর স্মৃতি।
২০১৮ সাল থেকে তাইওয়ানের আরও উপকণ্ঠ এলাকা ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য সাইকেল-যাত্রা কমিউনিটি গড়ে তুলতে সহায়তা দেয় ‘সাইকেল যাত্রা’ প্রকল্পের আয়োজকরা। ২০১৯ সালে চীনের সাইকেল যাত্রী পরিষদ তাইওয়ান প্রদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়। জনাব ইয়াংও এ পরিষদের প্রধান হিসেবে কাজ করে থাকেন।