চীনের ডেলিভারিম্যানের শহরে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের গল্প
কর্মসংস্থানের সুযোগ খুঁজে পাওয়ার অভিজ্ঞতা স্মরণ করে তিনি বলেন, শুরুর দিকে বিভ্রান্ত ছিলাম। কারণ, মহামারীর পর চাকরি নেওয়া আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তা ছাড়া, এ বছর চীনের স্নাতক শিক্ষার্থীর সংখ্যাও সবচেয়ে বেশি। এমন অবস্থায় একটি ভালো চাকরি খুঁজে পাওয়া সহজ ব্যাপার ছিল না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় মেয়ে ওয়ে’র চাকরি খুঁজে পাওয়ার পথ কল্পনার চেয়ে একটু বেশিই সহজ ছিল। তার বিশ্ববিদ্যালয় নিয়মিতভাবে বাজারে কর্মসংস্থানের সুযোগ বিশ্লেষণ করে ও সে অনুসারে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করে। শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য ও সুবিধা এবং দুর্বলতা বিশ্লেষণ করা হয়। আর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের বৈশিষ্ট্য ও দক্ষতা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেওয়া হয়। এ ধারণা কর্মসংস্থান বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়।
সিভি তৈরি থেকে শুরু করে প্রতিটি পদক্ষেপে পেশাদার শিক্ষকদের সহায়তা পায় শিক্ষার্থীরা। বেইজিং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট গিয়ে শিক্ষকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে শিক্ষার্থীরা, তাদের পরামর্শ নিতে পারে।
চলতি বছরের শুরুতে মহামারীর কারণে অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের চাকরির সাক্ষাত্কার অনলাইনে হচ্ছে ও হয়েছে। অনলাইন সাক্ষাত্কারে সফলতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইন্টারভিও রুম’ স্থাপন করা হয়েছে, যাকে শিক্ষার্থীরা ইন্টারভিওর চর্চা করতে পারে।
তাই বলা যায়, শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতে বেইজিং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বহু পদক্ষেপ নিয়েছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ বিশ্লেষণ করা, শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য ও দুর্বলতা বিবেচনা করা, উপযোগী কর্মসংস্থান সুপারিশ করা, সাক্ষাত্কার প্রক্রিয়া চর্চা করা, ইত্যাদি পদ্ধতিতে স্নাতক শিক্ষার্থীদের সহায়তা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়।