রকেট চেজার
হাই নান প্রদেশের নানা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও উৎক্ষেপণ ক্ষেত্রের নিয়মিত পর্যটক। হাই নান নর্মাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হু সি ইউয়ে থিয়ান চৌ ৬-এর উৎক্ষেপণ দেখেছেন এবং সেখানে পাশে একজন ছেলের কথা শুনে তিনি খুব অভিভূত হন। ওই ছেলেটি বলছিল, বড় হয়ে সে উৎক্ষেপণ ক্রু হতে চায়। হু সি ইউয়ে ভবিষ্যতে শিক্ষক হবেন এবং তার মতে উৎক্ষেপণ সবাইকে সবচেয়ে ভাল একটি দেশপ্রেমের ক্লাস দিয়েছে।
ফটোগ্রাফার লি চি সিন তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, রকেট আকাশে অদৃশ্য হয়ে যাবার পর সবাই একসাথে ‘আমার দেশ’ শিরোনামের একটি গান গান। সৈকতে সবাই বড় বা ছোট লাল পতাকা দোলান। এখানে সবাই বন্ধু হতে পারে।
লি চি সিন ও থাং মু চি এখানে একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হন এবং তারা বন্ধু হয়ে ওঠেন। এখন তারা একসাথে আবার ওয়েন ছাংতে এসেছেন। সবাই ছবি তোলা নিয়েও আলোচনা করেন।
রকেট চেজাররা জানান, মহাকাশ শিল্পের উন্নয়ন সবসময় মসৃণ নয়। তবে এর উন্নয়নের পথে তারা সবসময় সঙ্গে থাকতে চান।
২০২১ সালে থিয়ান চৌ-২ মহাকাশযানের উৎপেক্ষণ দু বারের মতো পিছিয়ে দেওয়া হয়। চাং চু সিং ওই সময় একটি পর্যটক দল নিয়ে ওয়েন ছাংয়ে ছিলেন। বিলম্বের কারণে অর্ধেক পর্যটক চলে যায়। যখন তৃতীয় বারের মতো উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নেওয়া হয় তখন রকেটের নীচে স্লোগানও বদলানো হয়। স্বনির্ভরতা থেকেই আসে কঠিন পরিস্থিতিতে সাহস দেখানোর হিম্মত। চাং চুও সিংও প্রথম বারের মতো বুঝতে পারেন, কেন চীনের রকেটের নাম লং মার্চ। দীর্ঘ এ যাত্রা সহজ নয়। আর তখন থেকে চাং চুও সিং রকেট লঞ্চের উপর আরও বেশি গুরুত্ব দেন। প্রতিবার অপেক্ষার সময়ে তিনি পর্যটকদের সঙ্গে ভাগাভাগি করেন চীনা মহাকাশ শিল্পের নানা তথ্য।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মহাকাশ বিষয়ক পর্যটন জনপ্রিয় হয়ে উঠার সাথে সাথে লং লৌ জেলায় পর্যটন শিল্পে জোয়ার এসেছে। বৈশিষ্ট্যময় পারিবারিক হোটেল এবং আবাসিক ভবনের উচ্চ রুম ভাড়ায় ব্যবসা ভালো হয়ে উঠেছে। হোটেল ব্যবসার প্রসার সব সময় রকেটের সঙ্গে সম্পর্কিত। হোটেলে থাকলে রুম থেকে উৎক্ষেপণ দেখা যায় বলে পর্যটকরা আকৃষ্ট হন। মাত্র ৭-৮ বছরের মধ্যে লং লৌ জেলা অপরিচিত একটি মত্স-জেলা থেকে মহাকাশ-জেলায় পরিণত হয়েছে।