বাংলা

রকেট চেজার

CMGPublished: 2024-01-23 19:30:54
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

সন্ধ্যায় আকাশে তারা জ্বলতে শুরু করেছে। হঠাৎ করে অন্ধকারে আগুনের ঝলকানি ওঠে আকাশে। গর্জন যেন বধির করে দেয়। সৈকতে জড় হওয়া মানুষগুলো আকাশে আগুনের ঝলকানির দিকে তাকায়। একটু পরে সে অগ্নিপিণ্ড একটি তারার মতো মহাকাশে অদৃশ্য হয়ে যায়।

এটি রকেট উৎক্ষেপণের দৃশ্য। আর মানুষের জন্য সবচেয়ে রোমান্টিক দৃশ্যও বটে। ২০১৬ সালে চীনে চালু হয় প্রথম উন্মুক্ত-সৈকত উৎক্ষেপণকেন্দ্র ওয়েন ছাং উৎক্ষেপণকেন্দ্র এবং রকেটের উৎক্ষেপণ পাহাড়, যেটি মরুভূমির ভেতর থেকে সুন্দর সৈকতে এসেছে। এছাড়া মুন বে, পাথর পার্ক ও ব্রোঞ্জ ড্রাম পর্বতের সঙ্গে মিলে সুন্দর দৃশ্য সৃষ্টি হয়েছে।

এখন চীনে রকেটের চেজার আর কোনও নতুন বিষয় নয়। মহাকাশ বিষয়ক পর্যটন দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ওয়েন ছাং একসময় প্রবাসী চীনাদের নগর ছিল আর আজ সেটা স্বপ্নের শহরে পরিণত হয়েছে।

২০২৩ সালের ১০ মে বিকেলে ৬টার দিকে, থিয়ান চৌ-৬ মহাকাশযানের উৎক্ষেপণের ৪ ঘন্টা আগে, হাই নান প্রদেশের ওয়েন ছাংয়ের ছিসুই সৈকতে দর্শনার্থীদের ভীষণ ভিড় হয়। সাদা সৈকতে নানা রঙের তাবু দেখা যায়। মানুষের মুখে চীনের জাতীয় পতাকা আঁকা এবং পোশাকে শ্লোগান লেখা ‘চীনা মহাকাশযান এগিয়ে যাও’। ভাল একটি স্থান পাওয়ার জন্য এমনকি আগের দিন থেকে মানুষ এখানে এসে তাবু গাড়তে শুরু করে।

এমন দৃশ্য প্রায় প্রতিবারের উৎক্ষেপণের সময় দেখা যায়। পর্যটকরা বিমানযোগে হাই নান প্রদেশের রাজধানী হাই খৌতে পৌঁছায়। তারপর বুলেট ট্রেনে করে ওয়েন ছাং শহরে এবং শেষে গাড়িতে করে ২০ কিলোমিটার দূরে উৎক্ষেপণকেন্দ্রে পৌঁছায়। এ কেন্দ্র লং লৌ নামে একটি জেলায় অবস্থিত। এখানে বিভিন্ন জায়গা থেকে উৎক্ষেপণ দেখা যায় যেমন সৈকত, ছাদ, উচ্চ ভবনের ব্যালকনি ইত্যাদি। এমনকি এ জেলার রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে চোখ তুলে তাকিয়েও দেখা যায় উড়ে যাচ্ছে রকেট।

প্রতিবার উৎক্ষেপণের সময় জেলায় ট্র্যাফিক জ্যাম শুরু হয়ে যায়। হোটেলের সব রুমের বুকিং শেষ হয়ে যায়। তারপরও রকেট তাড়া করতে এখানে আসে মানুষেরা।

সতের জানুয়ারি রাতে, লং মার্চ-৭ ওয়াই-৮ পরিবাহক রকেটের মাধ্যমে থিয়াংন চৌ-৭ মালবাহী মহাকাশযান ওয়েন ছাং থেকে যাত্রা শুরু করে। কুয়াং তুং প্রদেশের বাসিন্দা চাং চুও সিং ১১ বারের মতো পর্যটকদের নিয়ে উৎক্ষেপণ দেখতে আসেন এবং এবারেরটা তার ১৩তম রকেট চেজিং।

২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হবার পর চাং চুও সিং ও তার বন্ধুর সঙ্গে একটি যুব ভ্রমণসংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। এ সংস্থার নাম ‘২০ বছর বয়সীর হাঁটা’। যুবক-যুবতীদেরকে সামাজিক যোগাযোগ ও ভ্রমণ-সেবা প্রদান করে তারা। ওয়েন ছাংয়ে রকেট উৎক্ষেপণ দেখা তাদের মূল ব্যবসার অন্যতম।

চাং চুও সিং বলেন, এ রুট এত জনপ্রিয় হয়েছে যে, প্রতিবারই দ্রুত তাদের আসন পূর্ণ হয়ে যায়। চাং চুও সিং নিজেও একজন ফটোগ্রাফার এবং তারার ছবি তুলতে পছন্দ করেন তিনি। ২০২০ সালে তিনি ইয়ুন নান প্রদেশের লি চিয়াংতে তারকাখচিত আকাশের ছবি তোলেন এবং অন্য ফটোগ্রাফারদের কাছ থেকে জানতে পারেন পরে তারা ওয়েন ছাংতে রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে যাবেন। চাং চুও সিং ওই প্রথম বারের মতো জানতে পারেন যে, রকেট উৎক্ষেপণ দেখা কোনও কঠিন ব্যাপার নয়। তাই তিনি ওয়েন ছাংতে আসার সিদ্ধান্ত নেন।

রকেট যেন নিঃশব্দে আকাশের দিকে উড়তে শুরু করে। কারণ এর শব্দ কয়েক সেকেন্ড পরে কানে আসে। চাং চুও সিং প্রথমবার রকেট উৎক্ষেপণের অভিজ্ঞতা স্মরণ করে বলেন, যদিও চারপাশে মানুষেরা উল্লাস আর চিৎকার করে তবে ওই কয়েক সেকেন্ডে তিনি যেন শূন্যে থাকার মতো কিছুই শুনতে পান না। কিছুক্ষণ পর তার চোখ ভিজে যায়। উৎক্ষেপণের বিস্ময়কর দৃশ্য ও মানুষের উৎফুল্লতা দেখে ও শুনে অভিভূত হন তিনি। একজন চীনা হিসেবে তিনি গর্বিত বোধ করেন এবং এমন মূহুর্ত যাতে আরও বেশি মানুষ দেখতে পারেন সেজন্য তিনি একটি ভ্রমণ সংস্থা প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন।

চাং চুও সিং বলেন, এখন শুধু যুবারা নয়, বিভিন্ন বয়সের মানুষ তার সংস্থার মাধ্যমে রকেট দেখতে নিবন্ধন করেন। কেউ কেউ শিশু নিয়ে পরিবারসহ ভ্রমণ করেন। এ পর্যন্ত ৩শ জনের বেশি মানুষ তার সংস্থার মাধ্যমে রকেট উৎক্ষেপণ দেখেছেন এবং একবারে সর্বোচ্চ ৮০ জনের একটি দল নিয়ে ওয়েন ছাংতে যান।

লং লৌ জেলায় একটি হোটেল খুলেছেন সুয়ে ছ্য নামে একজন যুবক। সামাজিক তথ্যমাধ্যমে তার অনুসরণকারীর সংখ্যা ১ হাজারের বেশি। প্রতিবার উৎক্ষেপণের তারিখ ঘোষিত হলে বুকিং শুরু হয়। সুয়ে ছ্যয়ের গ্রামের মানুষদের উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের কারণে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি ও তার বন্ধুরা মহাকাশ শিল্পকে ভালবাসেন ও সমর্থন দেন। তিনি বলেন, কেউ কেউ রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে একাধিক বার তার হোটেলে থেকেছেন এবং তাদের সঙ্গে পরে তার বন্ধুত্বও হয়েছে। রকেট সবাইকে যুক্ত করে।

নর্থওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ফর ন্যাশনালিটিজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র থাং মু চি তৃতীয় বারের মতো ওয়েন ছাং উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে এসেছেন। তিনি বলেন, লং মার্চ ৭ রকেটকে রকেটের সুদর্শন পুরুষ হিসেবে আখায়িত করা হয়। তাই লং মার্চ ৭ রকেটের উৎক্ষেপণ দেখতে তিনি আবার ওয়েন ছাংয়ে এসেছেন। যতবারই আসুক না কেন, প্রতিবারই রকেট উৎক্ষেপণ দেখে তিনি অভিভূত হন। ২০২২ সালের জুলাই মাসে থাং মু চি প্রথম বারের মতো উৎক্ষেপণ দেখেন। ওই বার ওয়েন থিয়ান পরীক্ষমূলক কেবিনের উৎক্ষেপণ ছিল। তিনি উপাদান বিষয়ক একজন ছাত্র এবং তার মনে উৎক্ষেপণ দেখে দেশের কয়েক দশকের উন্নয়ন এক মূহুর্তে তার চোখে পড়ে। ওই সময় তিনি সত্যিকভাবে দেশের উন্নয়ন বুঝতে পারেন।

চাং চুও সিং বলেন, মানুষ নানা কারণে রকেট চেজ করে। যারা কৌতূহল নিয়ে আসেন, তারা নতুন কিছু লাভ করতে পারেন। সত্তর বছর বয়সী ওয়াং চিয়ান চুন হাই নান প্রদেশে বাস করেন। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে তিনি রকেট লঞ্চের খবর শুনে পরিবার নিয়ে সকাল থেকে গাড়ি চালিয়ে লং লৌ জেলায় আসেন এবং সৈকতে ৪ ঘন্টার মতো অপেক্ষা করেন। তিনি বলেন, ৪ ঘন্টার অপেক্ষা তার জন্য কিছুই না। কারণ এ মুহুর্তটির জন্য দেশকে কত অপেক্ষা করতে হয়েছে! তিনি নাতির মনে একটি মহাকাশ স্বপ্নের বীজ বপন করতে চান এবং ভাবেন নাতি যদি স্বচোখে রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে পারে তাহলে সে আরও সহজে বুঝতে পারবে এ স্বপ্নের অর্থ কী।

হাই নান প্রদেশের নানা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও উৎক্ষেপণ ক্ষেত্রের নিয়মিত পর্যটক। হাই নান নর্মাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হু সি ইউয়ে থিয়ান চৌ ৬-এর উৎক্ষেপণ দেখেছেন এবং সেখানে পাশে একজন ছেলের কথা শুনে তিনি খুব অভিভূত হন। ওই ছেলেটি বলছিল, বড় হয়ে সে উৎক্ষেপণ ক্রু হতে চায়। হু সি ইউয়ে ভবিষ্যতে শিক্ষক হবেন এবং তার মতে উৎক্ষেপণ সবাইকে সবচেয়ে ভাল একটি দেশপ্রেমের ক্লাস দিয়েছে।

ফটোগ্রাফার লি চি সিন তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, রকেট আকাশে অদৃশ্য হয়ে যাবার পর সবাই একসাথে ‘আমার দেশ’ শিরোনামের একটি গান গান। সৈকতে সবাই বড় বা ছোট লাল পতাকা দোলান। এখানে সবাই বন্ধু হতে পারে।

লি চি সিন ও থাং মু চি এখানে একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হন এবং তারা বন্ধু হয়ে ওঠেন। এখন তারা একসাথে আবার ওয়েন ছাংতে এসেছেন। সবাই ছবি তোলা নিয়েও আলোচনা করেন।

রকেট চেজাররা জানান, মহাকাশ শিল্পের উন্নয়ন সবসময় মসৃণ নয়। তবে এর উন্নয়নের পথে তারা সবসময় সঙ্গে থাকতে চান।

২০২১ সালে থিয়ান চৌ-২ মহাকাশযানের উৎপেক্ষণ দু বারের মতো পিছিয়ে দেওয়া হয়। চাং চু সিং ওই সময় একটি পর্যটক দল নিয়ে ওয়েন ছাংয়ে ছিলেন। বিলম্বের কারণে অর্ধেক পর্যটক চলে যায়। যখন তৃতীয় বারের মতো উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নেওয়া হয় তখন রকেটের নীচে স্লোগানও বদলানো হয়। স্বনির্ভরতা থেকেই আসে কঠিন পরিস্থিতিতে সাহস দেখানোর হিম্মত। চাং চুও সিংও প্রথম বারের মতো বুঝতে পারেন, কেন চীনের রকেটের নাম লং মার্চ। দীর্ঘ এ যাত্রা সহজ নয়। আর তখন থেকে চাং চুও সিং রকেট লঞ্চের উপর আরও বেশি গুরুত্ব দেন। প্রতিবার অপেক্ষার সময়ে তিনি পর্যটকদের সঙ্গে ভাগাভাগি করেন চীনা মহাকাশ শিল্পের নানা তথ্য।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মহাকাশ বিষয়ক পর্যটন জনপ্রিয় হয়ে উঠার সাথে সাথে লং লৌ জেলায় পর্যটন শিল্পে জোয়ার এসেছে। বৈশিষ্ট্যময় পারিবারিক হোটেল এবং আবাসিক ভবনের উচ্চ রুম ভাড়ায় ব্যবসা ভালো হয়ে উঠেছে। হোটেল ব্যবসার প্রসার সব সময় রকেটের সঙ্গে সম্পর্কিত। হোটেলে থাকলে রুম থেকে উৎক্ষেপণ দেখা যায় বলে পর্যটকরা আকৃষ্ট হন। মাত্র ৭-৮ বছরের মধ্যে লং লৌ জেলা অপরিচিত একটি মত্স-জেলা থেকে মহাকাশ-জেলায় পরিণত হয়েছে।

চীনের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিসির লং লৌ জেলা কমিটির উপ-সম্পাদক ইয়ে সেং বলেন, মহাকাশ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ও সৈকত সম্পদের সুবিধা কাজে লাগিয়ে স্থানীয় পর্যটন শিল্পে বেশ সফলতা এসেছে। জেলায় হোটেল ও পারিবারিক হোটেলের সংখ্যা ৫টি থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০টিতে, দোকানের সংখ্যা ২৩০টি থেকে বেড়েছে ৯০০টিতে। এ জেলার স্থায়ী জনসংখ্যা মাত্র ২৭ হাজার, তবে গেল দুবছর মোট ১৫ লাখ পর্যটক এখানে আসে। স্থানীয় মানুষ শুধু পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে তা নয়, ধারাবাহিক মহাকাশ বিষয়ক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এখানেও আয়োজন করা হয়। সেটা স্থানীয়দেরকে বাইরের বিশ্বকে জানার একটি জানালা খুলে দিয়েছে।

পারিবারিক হোটেলের মালিক চু ইং গতবছর ৪০ লাখ ইউয়ান বিনিয়োগ করে তার ১৪টি রুমকে নতুনভাবে সাজিয়েছেন এবং ক্যাটারিং ও সৈকতে ভ্রমণের সেবা যোগ করেছেন। ভবিষ্যত সম্পর্কে চু ইং আশাবাদী। কারণ পরে দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ উৎক্ষেপণ মিশন লং লৌ জেলায় অনুষ্ঠিত হবে এবং পর্যটনের চাহিদা আরও বাড়বে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

সুয়ে ছ্যও নতুন পরিকল্পনা করেছেন। এখন অনেক গ্রামবাসীর মতো তিনি তার বাড়ি ভাড়া দেওয়ার মাধ্যমে ব্যবসা করেন। ভবিষ্যতে লং লৌ জেলায় মহাকাশ বিষয়ক পর্যটন নতুন পর্যায়ে উন্নীত হবে। আর পর্যটকের চাহিদা পূরণ করতে তিনি জেলায় এক দিনের ভ্রমণের নতুন সেবা চালু করবেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ছাড়া বড় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানিও লং লৌ জেলায় বিনিয়োগ করতে এগিয়ে এসেছে। ২০২৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর, হাই নান শাং ফা বৈজ্ঞানিক পর্যটক কোম্পানি প্রথম হাই নান ব্যবসায়িক মহাকাশ বিষয়ক ভ্রমণের রুট প্রকাশ করে। হাই নান আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী মহাকাশ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে এবং তারা নির্মাণ স্থলে পর্যটকদেরকে দেখানোর একটি ভ্রমণ রুট তৈরি করেছেন। পর্যটকরা উৎক্ষেপণ-কেন্দ্রের ভেতরে যেতে পারেন এবং দেখতে পারেন লঞ্চ টাওয়ার কীভাবে নির্মিত হয়েছে।

হাই নান শাং ফা বৈজ্ঞানিক পর্যটক কোম্পানির সিইও ইয়াং থিয়ান লিয়াং বলেন, মহাকাশ বিষয়ক পর্যটন শিল্পের ব্যাপক সম্ভবনা রয়েছে। গত বছর বেইজিং অ্যারোনটিক্যাল এবং অ্যাস্ট্রোনটিক্যাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক কুই হাই চাও মহাকাশে যান। তিনি পেশাদার মহাকাশচারী নন। এর অর্থ ভবিষ্যতে সাধারণ মানুষও মহাকাশে যেতে পারবে। এটি একটি সম্ভাব্য বাজার হবে।

ওয়েন ছাং শহরের ইতিহাস ২ হাজার ১০০ বছরের। এখানে একটি মহাকাশ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র এবং চীনের প্রথম ব্যবসায়ী লঞ্চ সাইট আছে। এর সুবিধা কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে ওয়েন ছাংয়ে মহাকাশ থিমের বিনোদন পার্কও নির্মিত হবে।

সতের জানুয়ারি রাতে, ওয়েন ছাং উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে লং মার্চ ৭ রকেটের মাধ্যমে থিয়ান চৌ-৭ মহাকাশযান সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়। আর এ জেলায় আবার শোনা যায় উষ্ণ উল্লাস।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn