বাংলা

রকেট চেজার

CMGPublished: 2024-01-23 19:30:54
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

প্রতিবার উৎক্ষেপণের সময় জেলায় ট্র্যাফিক জ্যাম শুরু হয়ে যায়। হোটেলের সব রুমের বুকিং শেষ হয়ে যায়। তারপরও রকেট তাড়া করতে এখানে আসে মানুষেরা।

সতের জানুয়ারি রাতে, লং মার্চ-৭ ওয়াই-৮ পরিবাহক রকেটের মাধ্যমে থিয়াংন চৌ-৭ মালবাহী মহাকাশযান ওয়েন ছাং থেকে যাত্রা শুরু করে। কুয়াং তুং প্রদেশের বাসিন্দা চাং চুও সিং ১১ বারের মতো পর্যটকদের নিয়ে উৎক্ষেপণ দেখতে আসেন এবং এবারেরটা তার ১৩তম রকেট চেজিং।

২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হবার পর চাং চুও সিং ও তার বন্ধুর সঙ্গে একটি যুব ভ্রমণসংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। এ সংস্থার নাম ‘২০ বছর বয়সীর হাঁটা’। যুবক-যুবতীদেরকে সামাজিক যোগাযোগ ও ভ্রমণ-সেবা প্রদান করে তারা। ওয়েন ছাংয়ে রকেট উৎক্ষেপণ দেখা তাদের মূল ব্যবসার অন্যতম।

চাং চুও সিং বলেন, এ রুট এত জনপ্রিয় হয়েছে যে, প্রতিবারই দ্রুত তাদের আসন পূর্ণ হয়ে যায়। চাং চুও সিং নিজেও একজন ফটোগ্রাফার এবং তারার ছবি তুলতে পছন্দ করেন তিনি। ২০২০ সালে তিনি ইয়ুন নান প্রদেশের লি চিয়াংতে তারকাখচিত আকাশের ছবি তোলেন এবং অন্য ফটোগ্রাফারদের কাছ থেকে জানতে পারেন পরে তারা ওয়েন ছাংতে রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে যাবেন। চাং চুও সিং ওই প্রথম বারের মতো জানতে পারেন যে, রকেট উৎক্ষেপণ দেখা কোনও কঠিন ব্যাপার নয়। তাই তিনি ওয়েন ছাংতে আসার সিদ্ধান্ত নেন।

রকেট যেন নিঃশব্দে আকাশের দিকে উড়তে শুরু করে। কারণ এর শব্দ কয়েক সেকেন্ড পরে কানে আসে। চাং চুও সিং প্রথমবার রকেট উৎক্ষেপণের অভিজ্ঞতা স্মরণ করে বলেন, যদিও চারপাশে মানুষেরা উল্লাস আর চিৎকার করে তবে ওই কয়েক সেকেন্ডে তিনি যেন শূন্যে থাকার মতো কিছুই শুনতে পান না। কিছুক্ষণ পর তার চোখ ভিজে যায়। উৎক্ষেপণের বিস্ময়কর দৃশ্য ও মানুষের উৎফুল্লতা দেখে ও শুনে অভিভূত হন তিনি। একজন চীনা হিসেবে তিনি গর্বিত বোধ করেন এবং এমন মূহুর্ত যাতে আরও বেশি মানুষ দেখতে পারেন সেজন্য তিনি একটি ভ্রমণ সংস্থা প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন।

首页上一页12345...全文 6 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn