রকেট চেজার
চাং চুও সিং বলেন, এখন শুধু যুবারা নয়, বিভিন্ন বয়সের মানুষ তার সংস্থার মাধ্যমে রকেট দেখতে নিবন্ধন করেন। কেউ কেউ শিশু নিয়ে পরিবারসহ ভ্রমণ করেন। এ পর্যন্ত ৩শ জনের বেশি মানুষ তার সংস্থার মাধ্যমে রকেট উৎক্ষেপণ দেখেছেন এবং একবারে সর্বোচ্চ ৮০ জনের একটি দল নিয়ে ওয়েন ছাংতে যান।
লং লৌ জেলায় একটি হোটেল খুলেছেন সুয়ে ছ্য নামে একজন যুবক। সামাজিক তথ্যমাধ্যমে তার অনুসরণকারীর সংখ্যা ১ হাজারের বেশি। প্রতিবার উৎক্ষেপণের তারিখ ঘোষিত হলে বুকিং শুরু হয়। সুয়ে ছ্যয়ের গ্রামের মানুষদের উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের কারণে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি ও তার বন্ধুরা মহাকাশ শিল্পকে ভালবাসেন ও সমর্থন দেন। তিনি বলেন, কেউ কেউ রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে একাধিক বার তার হোটেলে থেকেছেন এবং তাদের সঙ্গে পরে তার বন্ধুত্বও হয়েছে। রকেট সবাইকে যুক্ত করে।
নর্থওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ফর ন্যাশনালিটিজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র থাং মু চি তৃতীয় বারের মতো ওয়েন ছাং উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে এসেছেন। তিনি বলেন, লং মার্চ ৭ রকেটকে রকেটের সুদর্শন পুরুষ হিসেবে আখায়িত করা হয়। তাই লং মার্চ ৭ রকেটের উৎক্ষেপণ দেখতে তিনি আবার ওয়েন ছাংয়ে এসেছেন। যতবারই আসুক না কেন, প্রতিবারই রকেট উৎক্ষেপণ দেখে তিনি অভিভূত হন। ২০২২ সালের জুলাই মাসে থাং মু চি প্রথম বারের মতো উৎক্ষেপণ দেখেন। ওই বার ওয়েন থিয়ান পরীক্ষমূলক কেবিনের উৎক্ষেপণ ছিল। তিনি উপাদান বিষয়ক একজন ছাত্র এবং তার মনে উৎক্ষেপণ দেখে দেশের কয়েক দশকের উন্নয়ন এক মূহুর্তে তার চোখে পড়ে। ওই সময় তিনি সত্যিকভাবে দেশের উন্নয়ন বুঝতে পারেন।
চাং চুও সিং বলেন, মানুষ নানা কারণে রকেট চেজ করে। যারা কৌতূহল নিয়ে আসেন, তারা নতুন কিছু লাভ করতে পারেন। সত্তর বছর বয়সী ওয়াং চিয়ান চুন হাই নান প্রদেশে বাস করেন। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে তিনি রকেট লঞ্চের খবর শুনে পরিবার নিয়ে সকাল থেকে গাড়ি চালিয়ে লং লৌ জেলায় আসেন এবং সৈকতে ৪ ঘন্টার মতো অপেক্ষা করেন। তিনি বলেন, ৪ ঘন্টার অপেক্ষা তার জন্য কিছুই না। কারণ এ মুহুর্তটির জন্য দেশকে কত অপেক্ষা করতে হয়েছে! তিনি নাতির মনে একটি মহাকাশ স্বপ্নের বীজ বপন করতে চান এবং ভাবেন নাতি যদি স্বচোখে রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে পারে তাহলে সে আরও সহজে বুঝতে পারবে এ স্বপ্নের অর্থ কী।