আকাশ ছুঁতে চাই ৮১
সাত বছর আগে, ইয়ান একটি হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি রূপসজ্জা শিল্পী হয়ে উঠেন এবং প্রায়শই কনের জন্য হেডওয়্যার তৈরি করতেন।
তারপর থেকে, তিনি টিভি নাটকে দেখা হেডওয়্যার এবং জামাকাপড় তৈরিতে ক্যান ব্যবহার করতে শুরু করেন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সাথে তার সৃষ্টিকর্মগুলো শেয়ার করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে তিনি প্রাচীন বই এবং চিত্রকর্ম থেকে অনুপ্রেরণা পেতে শুরু করেন, কারণ তিনি দেখতে পান যে ঐতিহ্যগত সংস্কৃতির একটি বিশাল ভান্ডার রয়েছে চীনের।
শিল্পকর্মগুলো ক্রমাগত জমা হওয়ার সঙ্গে ঐতিহ্যগত সংস্কৃতির প্রতি নতুন ভালবাসা এবং শ্রদ্ধা তৈরি হয় তার। আরো ভালোভাবে চর্চার মাধ্যমে চীনা ঐতিহ্যগত সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দেয়া কর্তব্য বলে মনে করেন ইয়ান।
ছবি যখন কথা বলে
ছবি আসলেই কথা বলে। এমন অনেক জটিল বিষয় আছে যা বুঝে উঠতে বেশ সময় লেগে যায়। কিন্তু এমন বিষয়গুলো যে কেউ খুব সহজেই বুঝতে পারেন ছবির মাধ্যমে। এমন একটি মজার বিষয় নিয়ে কাজ করেন চীনা তরুণী চাং ই মান।
অর্থনীতি, আইনের মতো দুর্বোধ্য ইস্যুগুলো সবার কাছে সহজবোধ্য করতে দুর্দান্ত ছবি আঁকেন তিনি। আর এতে উপকৃত হচ্ছেন বিশ্বের নানা প্রান্তের অসংখ্য মানুষ। বিস্তারিত প্রতিবেদনে।
দিনের শুরুতেই অফিসের জন্য প্রস্তুতি। নিজেকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে খুব সকালেই অফিসের পথে রওনা হন চাং ই মান। অফিসের সহকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে শুরু হয় নিত্যদিনের কাজ।
এই চীনা তরুণী দেশটির একটি স্থানীয় অফিসে কার্টুনিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। তবে তিনি সাধারন কোন কার্টুনিস্ট নন, তিনি কাজ করেন জনস্বার্থে। তিনি মনে করেন এমন অনেক জটিল বিষয় আছে যা সাধারন মানুষ বুঝতে পারেনা। তবে সুন্দরভাবে তা ছবির মাধ্যমে খুব কম সময়ে বুঝিয়ে বলা সম্ভব।
তার আঁকা ছবি কখনো কখনো মামলা-মোকদ্দমায় বেশ কাজে লাগে। স্থানীয় একটি বন্দরে বেশ কিছুদিন ধরে খোলা অবস্থায় কয়লা রাখা ছিল যা প্রকৃতির জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। এ বিষয়টি তিনি কার্টুনের মাধ্যমে তুলে ধরেন আদালতে এবং পরবর্তীতে মামলাটি জিতে যান। পরিবেশ সুরক্ষায় নির্মিত হয় কয়লা মজুদ রাখার তিনটি কেন্দ্র। চাং ই'র উদ্যোগে গেল তিন বছরে এরকম ১৩০ টিরও বেশী মামলা পরিচালনা করা হয়, যার অধিকাংশই দেখে সফলতার মুখ।