চলতি বাণিজ্যের ৪৮তম পর্ব
“ছয় বছর পর আমি আবারও ভিয়েতনাম সফরে এলাম। প্রতিবারই এখানে এসে আমি নতুন হ্যানয় সিটিকে আবিষ্কার করি। এ সময়ের মধ্যে ভিয়েতনামের উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি ও পরিবর্তন দেখে আমি সত্যিই আনন্দিত। আমি ও সাধারণ সম্পাদক ট্রং বেশ কিছু সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করেছি। এসব চুক্তি চীন ও ভিয়েতনামের মধ্যকার গুরত্বপূর্ণ সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ। আমি আশা করি নতুন যুগে দু’দেশের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় সৃষ্টি হবে। এতে, দু’দেশের জনগণের জন্য আরও বেশি কল্যাণ বয়ে আনা যাবে এবং এই অঞ্চল ও বিশ্বের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে আরও সক্রিয় অবদান রাখা যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।“
ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী জানান, এক চীন নীতি মেনে চলার ব্যাপারে তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এ সময় দুই দেশের সহযোগিতা আরও বাড়ানোর অঙ্গীকার করেন তিনি
ফাম মিন চিন, প্রধানমন্ত্রী, ভিয়েতনাম
“আপনার এই ঐতিহাসিক সস্ত্রীক ভিয়েতনাম সফর আমাদের দল ও সাধারণ মানুষের জন্য বহুল আকাঙ্ক্ষিত। ভিয়েতনাম কঠোরভাবে এক চীন নীতি মেনে চলে এবং চীনের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নকে আমরা সমর্থন করি এবং এটি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একটি বড় দেশ হিসেবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং শান্তি, উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা ও সহযোগিতার জন্য যে বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তাকে আমরা দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি। এই উদ্যোগের উপর ভিত্তি করে ভিয়েতনাম সরকার সক্রিয়ভাবে চীনা স্টেট কাউন্সিলের সঙ্গে সহযোগিতা করে যাবে এবং দুই দেশের ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যকার সমঝোতা অনুযায়ী নেওয়া সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে।“
সফর শেষ করে বিদায় বেলায় চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ভিয়েতনামের সাধারণ মানুষ ও প্রবাসী চীনারা। বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে রাস্তার দু’পাশে জড়ো হয়ে, চীন ও ভিয়েতনামের জাতীয় পতাকা নেড়ে, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে উষ্ণভাবে বিদায় জানায়।
বিমানবন্দরে এগিয়ে দেন ভিয়েতনামের সংসদের চেয়ারম্যানসহ দেশটির নেতৃবৃন্দ।