‘চলতি বাণিজ্য’পর্ব ৪৩
“এক্সপ্রেস ডেলিভারি কোম্পানিগুলো ক্রমেই তাদের অবকাঠামো নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করছে, বিশেষ করে জল-স্থল ও আকাশে তাদের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করছে। এর মাধ্যমে কাজের মান, স্থিতিশীলতা ও পণ্য পরিবহন অনেক সহজ করছে। এর মাধ্যমে এ খাতের বিদেশী ব্যবসায়ীদেরদের মনোযোগ আকর্ষণ করা সহজ হবে।“
এমন সেবা পেয়ে চাঙ্গা বিভিন্ন রকম পণ্যের ব্যবসা। বিশেষ করে করোনার পর চীনের ই-কমার্স খাতে বেড়েছে পণ্য বেচা-কেনার পরিমাণ। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, মধ্য চীনের হেনান প্রদেশের সুচাং শহরে স্থাপন করা কারখানাগুলোর উৎপাদিত পণ্যের প্রায় ৮০ শতাংশই দেশের বাইরে চলে যায়।
ছাই সিয়াওচিয়ে, ক্রস বর্ডার ই-কমার্স ম্যানেজার, উইগ কোম্পানি
“আমাদের ৬ ধরনের পণ্য রয়েছে যা বিশ্বের অন্তত ৪০টি দেশে বিক্রি হয়। চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে আমরা ৫০ হাজারের বেশি পণ্যের আন্তর্জাতিক ক্রয়াদেশ পেয়েছি। এই পণ্যের পরিমাণ গেল বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি।“
চায়না পোস্ট বলছে, অন্তত ১২টি দেশ ও অঞ্চলে পণ্য পরিবহন ও বিতরণ সুবিধার জন্য ১৫টি ওয়ারহাউজ নির্মাণ করেছে তারা। এসব ওয়ারহাউজের মাধ্যমে অন্তত সাড়ে ৩ হাজার কোম্পানির পণ্য সরবরাহ করা হয়।
পরিসংখ্যান বলছে, চীনের কুরিয়ার কোম্পানিগুলো এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে মোট ১ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন পার্সেল পাঠিয়েছে। চীনের স্টেট পোস্ট ব্যুরো বলছে, চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসে গেল বছরের একই সময়ের তুলনায় চীনের মূল ভূ-খণ্ডের বাইরের বিভিন্ন গন্তব্যে পাঠানো কুরিয়ারের পরিমাণ প্রায় ৫৭ শতাংশ বেড়েছে।