চলতি বাণিজ্যের ৪১তম পর্ব
“আমার মনে হয় জার্মান গাড়ি নির্মাণ শিল্পের রূপান্তর দরকার। অর্থাৎ প্রচলিত ইঞ্জিন বদলে এখন নতুন ধরনের জ্বালানী চালিত ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিন তৈরির দিকে এগোতে হবে। আপনি যদি প্রকৌশল বিভাগের দিকে তাকান তাহলে দেখবেন প্রায় ৯০ শতাংশ প্রোকৌশলীই প্রচলিত শিল্পখাতের এবং বাকি ১০ শতাংশ অন্যান্য বিভাগের বিশেষ করে ব্যাটারি প্রযুক্তি ও ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিন বিষয়ক।“
চীনা গাড়ি শিল্পের আধুনিকায়ন ও উদ্ভাবনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হিসেবে দেখলেও তা নিজেদের সংস্কারের উপলক্ষ হিসেবে নিতে চান নীতিনির্ধারকরা। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজও চীনের উদ্ভাবনকে অনুসরণ করে জার্মানির গাড়ি নির্মাণ শিল্পের উন্নয়ন ও সংস্কারে ১১০ বিলিয়ন ইউরোর একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। বিশেষ করে গাড়ি নির্মাণ শিল্পের অবকাঠামো উন্নয়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানীর ব্যবহার বাড়ানো এবং ব্যাটারির উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করার কথা রয়েছে।
গাড়ি তৈরি শিল্পে চীনের নানা অগ্রগতিতে টনক নড়েছে ইউরোপের উদ্যোক্তাদেরও। চীনের এই এগিয়ে যাওয়ার উদাহরণ থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। তারা বলছেন, জার্মানির মতো দেশের গাড়ি তৈরি শিল্পের রূপান্তর ঘটাতে হলে সহযোগিতা দরকার চীনের। একইসঙ্গে যৌথ বিনিয়োগে চীনা বাজারে কাজ শুরু করার কথাও ভাবছেন কেউ কেউ। এদেরই একজন ফক্সওয়াগন গ্রুপের প্রেসিডেন্ট অলিভার ব্লুম।
অলিভার ব্লুম, প্রেসিডেন্ট, ফক্সওয়াগন গ্রুপ
“চীন খুবই শক্তিশালী, খুবই বড় বাজার। আমরা চীনকে বিশ্বাস করি এবং চীনের সঙ্গে কাজ করতে চাই।“
যুক্তরাজ্যের ডেইলি মিরর বলছে, কয়েকটি নতুন মডেলের গাড়ি বাজারে আনলেও জার্মানির গাড়ি নির্মাণ শিল্প প্রতিযোগিতায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। মার্সিডিজ বেঞ্জ চেয়ারম্যান ওলা কালেনিয়াস জানান, চীনাদের উদ্ভাবনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে চানা তারাও।