চীন ও চীনের বাইরের দুনিয়ার ‘ব্যবসা-অর্থনীতি-বানিজ্যের হালচাল নিয়ে সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান ‘চলতি বাণিজ্য’
“প্রথমত হংকংয়ের বিনিয়োগকারীরা এখানে বন্দরের কাছাকাছি বিশাল আকারের জমির সুবিধা পাবে। আবার আমরা নতুন শহর নির্মাণ করছি, সেখানেও হংকংয়ের অবিজ্ঞতা, অর্থ ও তাদের জ্ঞান কাজে লাগানো যায়। কেননা, নতুন নতুন ভবন তৈরিতে তাদের অনেক অভিজ্ঞতা আছে। কাজেই আমাদের আন্তর্জাতিক যে ফ্রি ট্রেড পোর্ট আছে সেখানে তারা বিনিয়োগ করতে পারে। সেই বিনিয়োগ থেকে একটি বড় অংকের লাভ ঘরে তোলা সম্ভব।“
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৮ সালের এপ্রিল পর্যন্ত হাইনানে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ৪২ শতাংশও আসে হংকং থেকে। এই বিনিয়োগের পরিমাণ ছিলো প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর এসব বিনিয়োগে অংশ নেয় হংকংয়ের ২ হাজারের বেশি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।
ভিনদেশে চীন:
মার্কিন গাড়ি নির্মাতা ফোর্ডকে প্রযুক্তি সহায়তা দিচ্ছে চীনা কোম্পানি সিএটিএল
সাজিদ রাজু, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: কেবল মার্কিন বাজার নয়, দুনিয়া জোড়া খ্যাতি যুক্তরাষ্ট্রের জায়ান্ট গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফোর্ড মোটর কোম্পানি। এই ফোর্ডের তৈরি করা গাড়ির জন্য যে নতুন ব্যাটারি প্ল্যান্ট নির্মাণ করা হয়েছে সেখানে প্রযুক্তিগত সব সেবা দেবে চীনা কোম্পানি কনটেম্পোরারি অ্যামপেরেক্স টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেড –সিএটিএল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যে স্থাপন করা প্ল্যান্টে এক সঙ্গে কাজ করবে চীনের ব্যাটারি নির্মাতা এই প্রতিষ্ঠানটি। সেখানে ল্যাটার্স লিথিয়াম আয়রন ফসফেট বা এফএফপি ব্যাটারি তৈরির ব্যাপারে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সেবা দেবে তারা।
সাংহাই সিকিউরিটিস নিউজ জানায়, এরইমধ্যে নতুন স্থাপন করা প্ল্যান্টটিতে সাড়ে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে ফোর্ড। বিশেষ করে ২০২৬ সালে ফোর্ড মোটরের জন্য ৪ লাখ বিদ্যুৎচালিত গাড়ির জন্য ব্যাটারি উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে কোম্পানিটি। আর সে কারণেই চীনা কোম্পানি সিএটিএলও শুরু করেছে তৎপরতা। সিএটিএল জানায়, নতুন প্ল্যান্টে উৎপাদন করা ব্যাটারিতে ব্যবহার করা প্রযুক্তির প্যাটেন্টের ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করবে তারা।
এর আগে ২০২২ সালে একটি সমঝোতা স্মারক সই করে উভয় কোম্পানি।
কোম্পানি প্রোফাইল:
চীনা বাজার ধরতে মরিয়া কোকা-কোলা
সাজিদ রাজু, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: চীনের বাজার ধরতে কার্যক্রম জোরদার করেছে মার্কিন বহুজাতিক কোমল পানীয় প্রস্তুতকারক কোম্পানি কোকাকোলা।
এ জন্য অফলাইন ও অনলাইনে কোম্পানির পণ্যের প্রচারণা বাড়ানো, পণ্যের গুণগত মান উন্নয়ন এবং উৎপাদনে আরো বেশি বিনিয়োগ করার উপর জোর দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এসব কার্যক্রমের কিছু প্রমাণও মিলেছে গেল বছরের কার্যক্রমে। বিশেষ করে ২০২২ সালেই চীনে নতুন করে আরো ২০টি পণ্য বাজারজাত করা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া প্রদেশের আটলান্টা ভিত্তিক দ্য কোকা-কোলা কোম্পানি।
চীনের বাজার প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেমস কুইনসে সম্প্রতি বলেছেন, চীনের বাজারে কোকাকোলার নতুন পণ্য ও বিনিয়োগ ব্যবসায় আরো বেশি মুনাফা নিয়ে আসবে। নতুন বিনিয়োগের মাধ্যমে ২০১৯ সালে করোনার প্রভাবে যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে ওঠা যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশ করা এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে গেল বছর কোকা-কোলার বাজার ১ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। বিশেষ করে ভারত ও ভিয়েতনামে কোকো-কোলার বাজার কিছুটা চাঙ্গা হলেও চীনের বাজারে চাহিদা কিছুটা কমে যায়।