চীনের সংস্কৃতি, চীনের ঐতিহ্য-৫৩
উৎসবের তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে উদ্বোধন করা হয় চীনা চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর। মূলত চীন-বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সহযোগিতাকে আরও জোরদার করতে এই বিশেষ অংশ গ্রহণ।
এতে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ড. দীপু মনি, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্টদূত ইয়াও ওয়েন এবং চীনের শাংহাই ফিল্ম এসোসিয়েশনের ডেপুটি চেয়ার ড. শি ছুয়ান।
এর আগে অডিটোরিয়ামের লাউঞ্জে ১৬টি চীনা চলচ্চিত্রের পোস্টার গ্যালারীর উদ্বোধন করেন রাষ্টদূত ও দীপু মনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষ প্রদর্শিত হয় জনপ্রিয় চীনা সিনেমা ‘দ্য গ্রেট ডিসটেন্স ডেলিভার্স ক্রেন’ এবং ‘মুনলাইট ওয়ারিওর’।
মুনলাইট ওয়ারিওরের পরিচালক হং ইং বলছিলেন তাঁর অভিজ্ঞতার কথা।:
‘এখানে এসে আমার খুব ভালো লাগছে। আমি প্রথমবারের মতো এসেছি। এই উৎসবের মাধ্যমে আরও অনেক মানুষ আমার সিনেমা দেখছে এটা ভেবেই বেশ আনন্দ হচ্ছে। আমি বাংলাদেশের সিনেমাগুলো দেখবো। চীন বাংলাদেশ দীর্ঘ সময় ধরে ভালো সম্পর্ক বজায় রেখেছে। এবার এই চলচ্চিত্র উৎসবের মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের মধ্যে নতুন সম্পর্ক তৈরি হবে এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় হবে।’
উৎসবের এশিয়ান চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতায় লড়ে চীনা চলচ্চিত্র ‘দ্য কর্ড অব লাইফ’।
এদিকে, বাংলাদেশের নির্মাতা ও চলচ্চিত্র পরিচালকদের চীনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশটির নির্মাতা ও পরিচালকরা। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে বিকশিত এবং দুইদেশের যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণের লক্ষেই এ আমন্ত্রণ জানান তারা।
এ উৎসবে প্রদর্শিত হওয়া চীনের দুটি চলচ্চিত্রের পরিচালক ও প্রযোজকরা সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে চীনা সিনেমা ‘দ্য গ্রেট ডিসটেন্স ডেলিভার্স ক্রেন’ এর পরিচালক লাপাল কিয়াল এবং চিত্রনাট্য লেখক চাও ওয়াং এবং ‘মুনলাইট ওয়ারিওর’ সিনেমার পরিচালক ও প্রযোজক হং ইং তাদের সিনেমা নির্মাণের অভিজ্ঞতা, সিনেমার গল্পের পেছনের নানা ঘটনা গণমাধ্যমকে তুলে ধরেন।
দ্য গ্রেট ডিসটেন্স ডেলিভার্স ক্রেনের পরিচালক লাপাল কিয়াল বলছিলেন উৎসবে যোগ দিতে পেরে তার ভালোলাগার কথা:
‘আমি প্রথম বার ঢাকায় এসেছি। অনেক ভালো লাগছে। গত দুইদিনে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর দু’টি স্থানীয় টিভি কেন্দ্রে গিয়েছি, এবং ভিন্ন অভিজ্ঞতা হয়েছে। এখানকার মানুষের জীবন যাত্রা আর ও সংস্কৃতি খুবই আকর্ষণীয়। গতকাল আমি স্থানীয় টিভি কেন্দ্রে গিয়ে অনেক স্থানীয় চলচ্চিত্র কর্মীর সঙ্গে দেখা করেছি। তারা অনেক অভিজ্ঞ। আমি আশা করি, ভবিষ্যতে তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করার সুযোগ থাকবে।’
এদিকে, উৎসবে শনিবার একটি ‘মাস্টার ক্লাস’ নেন চীনের শাংহাই ফিল্ম এসোসিয়েশনের ডেপুটি চেয়ার ড. শি ছুয়ান। তিনি বলেন তাঁর ঢাকা সফরের অভিজ্ঞতার কথা: