মানুষ ও প্রকৃতি ২৪
প্যাংগোলিন পরিবারের মধ্যে সবচেয়ে বিপন্ন হলো চাইনিজ প্যাংগোলিন।
এরা পিপড়া, ছোট পোকা, কেঁচো, ঝিঝি পোকা, মাছি, মৌমাছির লার্ভাসহ বিভিন্ন ছোট কীটপতঙ্গ খেয়ে থাকে।
প্যাংগোলিন খুব লাজুক প্রজাতির প্রাণী। বিপদের আঁচ পেলেই গুটিয়ে গোল বলের আকার ধারণ করে।
এদের মাংস বেশ সুস্বাদু। তাই চোরা শিকারীদের কারণে একসময় এরা বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিল। বন ও পরিবেশ ধ্বংসের ফলে এরা আবাসন সংকটে ভুগছে।
তবে পরিবেশ সংরক্ষণে চীনের বিভিন্ন কার্যকরী উদ্যোগের ফলে প্রকৃতিতে আবার এদের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। চীনে এরা জাতীয় সুরক্ষার অধীনে রয়েছে।
প্রতিবেদন শান্তা মারিয়া
সম্পাদনা: ফয়সল আবদুল্লাহ
সুপ্রিয় শ্রোতা মানুষ ও প্রকৃতি অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে শুনবো প্রকৃতি সংবাদ।
সবুজ হচ্ছে ঊষর মরু
চীনের সিনচিয়াং অঞ্চলের তাকলামাকান মরুভূমির একটি অংশকে সবুজ ও প্রাণময় করে গড়ে তোলা হচ্ছে। একসময় যেখানে ছিল অনুর্বর ঊষর মরু সেখানে এখন দেখা মিলছে সবুজের।
মরুভূমির বুকে সারি সারি সোলার প্যানেল । সোলার ফটোভোলটাইক প্যানেলের মাধ্যমে উৎপাদিত হচ্ছে বিদ্যুৎ। শুধু তাই নয় তীব্র বাতাস ও বালির ঝড়কেও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে। অবাক করা এমন ঘটনা ঘটছে উত্তর পশ্চিম চীনের সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের হোথান প্রিফেকচারের লুয়োফু কাউন্টিতে। এখানে তাকলামাকান মরুভূমির প্রান্তে এক সময়ের অনুর্বর ঊষর মরু এখন সবুজ হয়ে উঠেছে। মরুকরণ বিরোধী প্রচেষ্টার ফলে এমনটা ঘটেছে।
লুয়োফু কাউন্টিতে চলছে মরুকরণ প্রতিরোধের জন্য ব্যাপক যুদ্ধ। এখানে সবুজ গাছপালার অভাবে প্রতি বসন্ত ও গ্রীষ্মে পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে তীব্র বাতাস ও বালি ঝড় বয়ে যেত।
তবে ছয় মাস আগে মরুভূমি এবং কাউন্টির একটি গ্রামের মধ্যবর্তী সীমান্তে অবস্থিত একটি ফটোভোলটাইক প্রকল্প চালু হওয়ায় পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে শুরু করে।
প্রকল্পটিতে বিশাল সৌর প্যানেল রয়েছে যা বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে এবং ধাতব উইন্ডব্রেক হিসাবে কাজ করতে পারে। প্যানেলগুলো বাতাসের গতি কমিয়ে দেয়, যার ফলে কাছাকাছি গ্রাম এবং শহরে বাতাসের সঙ্গে বালির পরিমাণ কম হয়।