মানুষ ও প্রকৃতি পর্ব ২
২০১২ সাল থেকে, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ৩০টিরও বেশি আইন প্রণয়ন ও সংশোধন করেছে চীন। এ ছাড়া জাতীয়ভাবে সুরক্ষিত বন্যপ্রাণী এবং উদ্ভিদের তালিকাও সংশোধন করা হয়েছে। এ সময়ে অসংখ্য জাতীয় উদ্যান নির্মাণের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রাণীর সুরক্ষা ব্যবস্থাও উন্নত করেছে।
ফলস্বরূপ, দেশটির ৪৩ শতাংশেরও বেশি এলাকা এখন প্রাণীর মানসম্পন্ন আবাসস্থল হয়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে জায়ান্ট পান্ডা, হাইনান ব্ল্যাক-ক্রেস্টেড গিবন এবং সাগো পামের মতো বিরল বন্যপ্রাণীর সংখ্যা।
সম্প্রতি চীনের পরিবেশ মন্ত্রণালয় জাতীয় বোটানিক্যাল গার্ডেনের জন্য ১৬টি এলাকা মনোনীত করার পরিকল্পনাও জারি করেছে।
চীনের জাতীয় বন ও তৃণভূমি প্রশাসনের বন্যপ্রাণী সুরক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক চাং তেহুই জানালেন,
‘২০৩৫ সালে চীন প্রায় ১০টি জাতীয় বোটানিক্যাল গার্ডেন স্থাপনের চেষ্টা করবে। এতে ৮০ শতাংশ বুনো গাছপালা এবং ৭০ শতাংশেরও বেশি বিরল গাছপালা সুরক্ষিত করা যাবে।’
পৃথকভাবে, চায়না একাডেমি অব সায়েন্সেসের জীববৈচিত্র্য কমিটি বুধবার ক্যাটালগ অব লাইফ চায়না ২০২৪ বার্ষিক চেকলিস্ট প্রকাশ করেছে। এতে মোট এক লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৪ প্রজাতি এবং উপ-প্রজাতি অন্তর্ভুক্ত আছে। ২০২৩ সালের করা তালিকার চেয়ে যাতে ৬৪২৩টি প্রজাতি এবং ২৬৭টি উপপ্রজাতি বেড়েছে।
প্রতিবেদন: ফয়সল আবদুল্লাহ
সম্পাদনা: শান্তা মারিয়া
প্রকৃতি সংবাদ
চীনে বেড়েছে বিরল প্রজাতির আনজি স্যালামানডারের সংখ্যা
চীনে বেড়েছে বিরল প্রজাতির উভচর প্রাণী আনজি স্যালামান্ডারের সংখ্যা। পূর্ব চীনের চেচিয়াং প্রদেশে ২০০৬ সালে যেখানে আনজি স্যালামানডারের সংখ্যা ছিল মাত্র ৬০, এখন সেখানে ৬০০ এর বেশি এই উভচর প্রাণী রয়েছে।
বিরল উভচর প্রাণীটিকে চীনে প্রথম শ্রেণীর সুরক্ষিত প্রাণী হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে।
সম্প্রতি গবেষকরা তাদের মাঠ গবেষণার সময় আনজি বনাঞ্চলে বন্য অবস্থায় আনজি স্যালামান্ডারের লার্ভার সন্ধান পেয়েছেন। সাধারণত এই প্রজাতি মে মাসের শেষ দিকে তাদের পাখনা হারাতে শুরু করে।
গবেষকরা দেখেছেন যে, এই বন্য স্যালামান্ডারটি কৃত্রিম উপায়ে জন্ম নেয়া স্যালামান্ডারের চেয়ে দশ গুণ বড়। জুন বা জুলাই মাস নাগাদ এটি পাখনা হারিয়ে জল থেকে উঠে এসে ডাঙায় বাস করা শুরু করবে।