দেহঘড়ি পর্ব-৯৮
## ‘উপসর্গে_উপলব্ধি’
এসব উপসর্গ দেখা দিলে বুঝবেন ডিমেনশা হতে যাচ্ছে আপনার
ডিমেনশা বা স্মৃতিভ্রংশ রোগ বার্ধক্যের একটি রোগ। এটি এক ভয়ঙ্কর রোগ। এ রোগে আক্রান্ত হলে চলাফেরায়, কথা বলায় সমস্যা হয়। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, বিশ্বব্যাপি প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ ডিমেনশায় আক্রান্ত। এই রোগে স্মৃতিশক্তি ও ভাষাগত দক্ষতা কমে এব মস্তিষ্কের জ্ঞানীয় ক্ষমতাও দুর্বল হয়ে যায়, যার ফলে দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ কাজগুলো করতেও মানুষের সমস্যা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘আলৎঝাইমার’স অ্যাসোসিয়েশন’র মতে, ডিমেনশা কোনও একক রোগ নয়। ডিমেনশা বলতে মূলত মস্তিষ্কের বিভিন্ন সমস্যার সমষ্টিকে বোঝায়। ‘আলৎঝাইমার’স রোগ ও ডিমেনশার অন্তর্ভুক্ত। যুক্তরাষ্ট্রের কার্বন হেল্থ অ্যান্ড সেইন্ট মেরি’স হসপিটালের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা পরিচালক ডা. কারি উইনচেল বলেন, “ডিমেনশা’ একজন মানুষের মস্তিষ্কের ওপর কী প্রভাব ফেলবে তা মানুষভেদে ভিন্ন। রোগে আক্রান্ত হলে যে বিষয়গুলো পাওয়া যায় তার মধ্যে সাধারণ হলো ‘অ্যামিলোয়েড প্লাকস’, ‘নিউরোফিব্রিলারি ট্যাঙ্গলস, দূরারোগ্য প্রদাহ, মস্তিষ্কে রক্ত ও অক্সিজেনের প্রবাহ কমে যাওয়া, এবং নিউরন মরে যাওয়া।
আজ আমরা আলোচনা করবো ডিমেনশার উপসর্গ নিয়ে। এসব উপসর্গ যদি কারও মধ্যে প্রকাশ পেতে থাকে তবে ধরে নিতে হবে তিনি স্মৃতিভ্রংশ বা ডিমেনশাতে আক্রান্ত হতে চলেছেন।
ভুলে যাওয়া
ডা. কারি উইনচেল জানান, ডিমেনশা রোগীদের নিউরন ধ্বংস হয়ে যায়, যে কারণে মস্তিষ্কে সংরক্ষিত তথ্য সঠিক সময়ে কাজে লাগানো যায় না। এর ফলে পূর্ব পরিচিত স্থান, ব্যক্তি, ঘটনা ইত্যাদি মনে করতে সমস্যা হয়।
কথা বলায় সমস্যা
কথার খেই হারিয়ে ফেলা কিংবা মনের কথা ব্যক্ত করার শব্দ খুঁজে না পাওয়া ইত্যাদি ডিমেনশা রোগের অন্যতম লক্ষণ। মস্তিষ্কের ‘হিপোক্যাম্পাস’ আর ‘এন্টোরহিনাল’ অংশে এই তথ্যগুলো সংরক্ষিত থাকে। কিন্তু নিউরন নষ্ট হয়ে যাওয়া কারণে তথ্য প্রবাহ ব্যহত হয়। ফলে শব্দ মনে পড়ে না।