দেহঘড়ি পর্ব-৯৮
ভ্যাসলিন আর লেবুর রস: গোড়ালি ফাটা সারাতে ভ্যাসলিনের জুড়ি নেই। আর লেবুর রস ভিটামিন সি-যুক্ত। তাই এগুলো নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে। প্রথমে কুসুম গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখুন ২০ মিনিটের মতো। এবার ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। তারপর ১ চা চামচ ভ্যাসলিনের সাথে ৩-৪ ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি পায়ে লাগিয়ে উলের মোজা পরে নিন। কয়েক ঘন্টা পর হালকা কুসুম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফল পেতে নিয়মিত এটা করুন।
হলুদ ও যষ্টিমধু: যষ্টিমধু অত্যন্ত উপকারী প্রাকৃতিক উপাদান। এতে আছে গ্লাইসিরিজিন, যা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান হিসাবে কাজ করে। হলুদের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বককে উজ্জ্বল করে। সেই সাথে ত্বকের চুলকানি ও অস্বস্তিবোধ কমায়। আর অ্যান্টি-সেপটিক গুণাগুণ থাকায় ফাটা গোড়ালির ক্ষত সারিয়ে তোলে। সামান্য হলুদের গুঁড়া ও পরিমাণমতো যষ্টিমধুর গুড়ো পানি দিয়ে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর পায়ের তলায় কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরা জেল ও গ্লিসারিন: অ্যালোভেরা জেল যে কতটা উপকারী সেটা বলে শেষ করা যাবে না। পা ফাটা কমাতে এটি ম্যাজিকের মতো কাজ করে। পায়ের জন্য এটি যেন প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। অন্যদিকে গ্লিসারিনও ত্বককে কোমল রাখে। ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল আর ১ টেবিল চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে নিন। পা গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন আগে। মুছে নিয়ে মিশ্রণটি লাগিয়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন এবং ধুয়ে ফেলুন। অথবা রাতে শোয়ার আগে পা মুছে একটু ঘন করে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে সুতোর মোজা পরে নিন। সকালে উঠে কুসুম গরম পানি দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন।
চালের গুড়ো, মধু ও ভিনেগার: ত্বকের যত্নে মধু দারুণ উপকারী। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে প্রাকৃতিকভাবেই। চালের গুড়ো ও ভিনেগার ত্বকের মৃত কোষ দূর করে। ৩ টেবিল চামচ চালের গুড়ো, ১ চামচ মধু এবং ২-৩ ফোঁটা ভিনেগার দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। ১০ মিনিট হালকা গরম পানিতে পা ডুবিয়ে রাখুন। পরে ওই পেস্ট দিয়ে ম্যাসাজ করুন এবং ধুয়ে ফেলুন। পা মুছে ময়েশ্চারাইজার লাগান। এটি রাতে ঘুমানোর আগে নিয়মিত ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।