দেহঘড়ি পর্ব-৯০
হার্টের সমস্যায়: হার্ট বা হৃদযন্ত্রের সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকর খেজুর। গবেষণায় দেখা গেছে, রাতে খেজুর পানিতে ভিজিয়ে সকালে পিষে খাওয়ার অভ্যাস হার্টের রোগীর সুস্থতায় ভীষণ কাজ করে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে: খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম এবং অল্প পরিমাণ সোডিয়াম। তাই প্রতিদিন এ ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে দেহের খারাপ কলেস্টোরল কমে এবং ভালো কলেস্টোরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকায় স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমে।
রক্তশূন্যতায়: খেজুর আয়রন বা লৌহসমৃদ্ধ ফল হিসেবে রক্তশূন্যতায় কার্যকর ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন খেজুর খেলে দেহের আয়রনের অভাব পূরণ হয় এবং রক্তস্বল্পতা রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্যে: নিয়মিত খেজুর খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি মেলে। তুলনামূলক শক্ত খেজুরকে সারা রাতপানিতে ভিজিয়ে সেই পানি খালি পেটে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে: খেজুর দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই শরীরের গঠনের তুলনায় যাদেরওজনবেশি, তারা নিয়মিত খেজুর খান।
অন্যান্য উপকারিতা: এছাড়াও জ্বর, মূত্রথলির সংক্রমণ, যৌনরোগ, গনোরিয়া, কণ্ঠনালির ব্যথা বা ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা ও শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে খেজুর বেশ উপকারী। নারীদের শ্বেতপ্রদর ও শিশুর রিকেট নিরাময়েও খেজুর বেশ কার্যকর। নিয়মিত খেজুর খেলে ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরে আসে। এছাড়া খেজুর দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এবং রাতকানা নিরাময় করে।
## আপনার ডাক্তার
দেহঘড়ির আজকের পর্বে আমরা কথা বলেছি পিত্তথলির পাথর বা গলব্লাডার স্টোন নিয়ে। পিত্তথলির পাথর খুবই পরিচিত একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। বেশিরভাগ পিত্তপাথর কোলেস্টেরল জমে তৈরি হয়। এ কারণে কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার কম খেলে পিত্তথলির পাথর হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়। পিত্তথলির পাথর কোন জটিল রোগ নয়। কিন্তু সময়মতো চিকিত্সা না করালে তা জটিল আকার ধারণ করে। সময়মত রোগনির্ণয় ও চিকিৎসা করালেই এই রোগের সঠিক নিরাময় সম্ভব। এ রোগ নিয়ে কথা বলতে আজ আমাদের সঙ্গে যুক্ত হন বিশেষজ্ঞ শল্যচিকিত্সক মো. আরিফ হোসেন। ডাক্তার মো. আরিফ হোসেন, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি)। তিনি শল্যচিকিত্সায় এফসিপিএস ডিগ্রিধারী।