দেহঘড়ি পর্ব-৯০
‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে খাদ্যের গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা ‘কী খাবো, সাক্ষাৎকারভিত্তিক আয়োজন ‘আপনার ডাক্তার’, প্রাকৃতিক উপায়ে রোগ প্রতিরোধ ও রোগমুক্তি নিয়ে আলোচনা ‘ভালো থাকার আছে উপায়’ এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক ভুল ধারণা নিয়ে আলোচনা ‘ভুলের ভুবনে বাস’ ।
#কী_খাবো_কী_খাবো_না
রোজ খেজুর খেলে মুক্তি মিলবে জটিল রোগ থেকেও
খেজুর অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি ফল। এটি ফ্রুকটোজ ও গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ। খেজুর রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। এ ফলকে চিনির বিকল্প মনে করা হয়। খেজুর শক্তির একটি ভালো উৎস। তাই খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়। খেজুরেরয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, আয়রন, প্রোটিন, ফলেট, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিনবি৬, বি ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও সালফারসহ নানাউপাদান। খেজুর স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ভালো, তেমনি চুল ও ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখতেও খেজুর অনেক উপকারি। জানিয়ে দিচ্ছি খেজুরের উপকারিতা সম্পর্কে:
শক্তি বর্ধনে: খেজুর রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যউপাদান, যা শারীরিক ও মানসিক শক্তি বাড়ায়। এছাড়া এ ফল হজমশক্তি, যৌনশক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। খেজুর ফুলের পরাগরেণু বন্ধ্যাত্ব দূর করে, শুক্রাণু বৃদ্ধি করে। খেজুর ও খেজুরের ফুল পরাগরেণু ডিএনএ’র গুণগতমান বৃদ্ধি করে।
হজম ও রুচি বৃদ্ধিতে: রুচি বাড়াতে খেজুরের কোনো জুড়ি নেই। শিশুদের মধ্যে যারা ঠিকমতো খেতে চায় না, তাদেরকে নিয়মিত খেজুর খেতে দিলে রুচি ফিরে আসে। খেজুরের মধ্যে রয়েছে স্যলুবল এবং ইনস্যলুবল ফাইবার ও বিভিন্ন ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড, যা সহজে খাবার হজমে সহায়তা করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে: বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে খেজুর। ফুসফুস ও ক্যাভিটি ক্যান্সার থেকে শরীরকে দূরে রাখতেও সাহায্য করে এ ফল।