দেহঘড়ি পর্ব-৮১
# ঐতিহ্যবাহী_চিকিৎসাধারা
সর্দি থেকে বাঁচতে ঐতিহ্যবাহী চীনা পদ্ধতি
কেউই সর্দি বা ফ্লুতে আক্রান্ত হতে চান না বা এতে আক্রান্ত হলেও বেশিদিন ভুগতে চান না; যত দ্রুত সম্ভব অসুস্থতা থেকে মুক্তি চান। ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসা ব্যবস্থা এমন ফ্লু প্রতিরোধে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। আবার অসুস্থতা ধরা পড়লে এ চিকিৎসা পদ্ধতি দ্রুত সেটা সারাতে পারে।
ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসা ব্যবস্থা রোগ প্রতিরোধের ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়। সর্দি বা ফ্লু থেকে বাঁচতে বেশ কয়েকটি পরামর্শ দেয় এই চিকিৎসা পদ্ধতি। এ ব্যবস্থা বলে:
• দিনে বেশ কয়েকবার আপনার হাত ধৌত করুন এবং আর্দ্র রাখুন। ত্বক হলো প্যাথোজেন বা রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরক্ষাগুলোর মধ্যে একটি - তা সে জীবাণু ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ঠাণ্ডা বায়ু বা গরম বায়ু যেটাই হোক না কেন।
• পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন। প্রতি রাতে আট থেকে নয় ঘন্টা নিরবচ্ছিন্নভাবে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
• পুষ্টিকর ও সহজপাচ্য খাবার খান। স্যুপ ও স্টু, রান্না করা শস্য, সবজি ও মাংস গ্রহণ করুন। কফির বদলে গ্রিন টি বেছে নিন। খাবারের আবেদনের ওপর গুরুত্ব রেখে ধীরে ধীরে খান।
• মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন, ধ্যান করুন এবং বুক ভরে শ্বাস নিন। গভীর শ্বাস নেওয়ার জন্য শত ব্যস্ততার মধ্যেও পাঁচ মিনিট সময় বের করুন।
• শীতের সময় হলে উষ্ণ পোশাক পরুন এবং ত্বক ও নাককে বাতাস থেকে সুরক্ষিত রাখুন।
ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে গেলে তা থেকে মুক্তির পথও বাতলে দেয় ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসা পদ্ধতি। প্রথমে বুঝে নিন সর্দির লক্ষণগুলো ‘গরম’ নাকি ‘ঠাণ্ডা’। চাইনিজ মেডিসিনে ‘ঠাণ্ডা’ লক্ষণগুলোর মধ্যে থাকে হাঁচি, পরিষ্কার বা সাদা কফসহ নাক দিয়ে পানি ঝরা, গলায় চুলকানি, কাশিতে পরিষ্কার বা সাদা শ্লেষ্মা বের হওয়া এবং শরীর ব্যথা। যদি এসব লক্ষণ থাকে, তাহলে চাইনিজ মেডিসিন বলে প্যাথোজেনটি ঠাণ্ডা বায়ুজনিত। ‘গরম’ লক্ষণগুলোর মধ্যে থাকে গলা ব্যথা, সাধারণ ঠাণ্ডা লাগার চেয়ে বেশি জ্বর, তৃষ্ণা, হলুদ কফের সাথে নাক বন্ধ হওয়া এবং কাশিতে হলুদ শ্লেষ্মা বের হওয়া। এই লক্ষণগুলোর অর্থ হলো প্যাথোজেনটি গরম বায়ুজনিত। সর্দি গরম নাকি ঠাণ্ডা এ সম্পর্কিত ধারণা এ রোগটিকে থেকে মুক্তি পেতে প্রয়োজনীয় খাবার ও ভেষজ নির্বাচনে সাহায্য করবে।