দেহঘড়ি পর্ব-২৯-China Radio International
রুচি বাড়ায়: অসুস্থ ব্যক্তি বা যারা বিভিন্ন কারণে মুখের স্বাদ হারিয়েছেন, তাদের স্বাদ ফিরিয়ে আনতে আমড়ার দারুণ কার্যকর। আমড়া খেলে মুখের অরুচিভাব দূর হয় এবং ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়।
রক্তস্বল্পতা রোধ করে: আমড়ায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন বা লৌহ থাকে, যা রক্তস্বল্পতা রোধে কার্যকরী। আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও ঠিক রাখে।
বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: আমড়ায় থাকে পেকটিন-জাতীয় দ্রবণীয় ফাইবার বা আঁশ, যা পাকস্থলীর কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখে। আর এর ফলে বদহজম, পেট ফাঁপা ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ থেকে বাঁচা যায়।
ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে: ক্যালসিয়ামের অভাব হলে হাড়ের সমস্যা, মাংসপেশীর খিঁচুনিসহ নানা রোগ হতে পারে। তবে নিয়মিত আমড়া খেলে ক্যালসিয়ামের অভাব দূর হয়।
ত্বক ভাল রাখে: ত্বকের ব্রণ কমাতে এবং ত্বক উজ্জ্বল রাখতে আমড়া দারুণ কার্যকর। আমড়ায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি থাকে, যা ত্বক উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।
রক্তস্বল্পতা দূর করে: আমড়ায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন বা লৌহ থাকায় এটি রক্তস্বল্পতা রোধে এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক পর্যায়ে রাখায় ভূমিকা পালন করে। - রহমান
## আপনার ডাক্তার
দেহঘড়ির আজকের পর্বে আমরা কথা বলেছি নিউমোনিয়া নিয়ে। নিউমোনিয়া নিরাময়যোগ্য ও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রতিরোধযোগ্য। তা সত্ত্বেও এ রোগে বিশ্বে প্রতিদিন পাঁচ বছরের কম বয়সী ২ হাজার ২শ' শিশু মারা যায়। এক বিশ্লেষণের উদ্বৃতি দিয়ে ইউনিসেফ বলছে, ২০২০ সালে পাঁচ বছরের কম বয়সী ৮ লাখেরও বেশি শিশু নিউমোনিয়ায় মারা যায়, অর্থাৎ প্রতি ৩৯ সেকেন্ডে একটি শিশুর মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে দুই বছরের কম বয়সী যত শিশু মারা যায়, তাদের বেশিরভাগেরই মৃত্যু হয় জীবনের প্রথম মাসেই। নিউমোনিয়ায় মৃত্যুর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থানও বেশ ওপরে। ইউনিসেফের ২০১৮ সালের এক হিসাবে দেখা যায়, নিউমোনিয়ায় পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ১৪তম। ওই বছর দেশে পাঁচ বছরের কমবয়সী ১২ হাজারেরও বেশি শিশুর মৃত্যু হয় এ রোগে; অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টায় একজনের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়। ২০১৮ সালে বাংলাদেশে মৃত্যুবরণ করা শিশুদের ১৩ শতাংশেরই মৃত্যু হয় নিউমোনিয়ায়। টিকা দিয়ে নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব এবং সঠিকভাবে নির্ণয় করা গেলে স্বল্প ব্যয়ের অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে সহজেই চিকিৎসা করা যায়। কিন্তু বহু শিশুকে এখনও টিকা দেওয়া হচ্ছে না – এবং প্রতি তিনটি শিশুর একটির মধ্যে লক্ষণগুলো উপস্থিত থাকলেও তারা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পায় না।