টিকটকে বয়স্ক মানুষের ছবি তোলা সুই খাইয়ের গল্প-China Radio International
কেউ লিখেছেন, জানুয়ারি মাসে আমার বাবার কিডনি ক্যান্সার সনাক্ত হয়। প্রতিদিন আমি বাবার জন্য সুস্বাদু খাবার তৈরি করতে চাই। কেউ লিখেছেন, যেসব রোগীর লম্বা সময় হাসপাতালে থাকতে হয়, তাদের আত্মীয়স্বজনদের জন্য রান্নাঘর খুব প্রয়োজন। রোগীর আত্মীয়স্বজনরা সেখানে একে অপরকে সমবেদনা জানাতে পারে।
এসব কথা খুব সরল ও মনোমুগ্ধকর।
সুই খাইয়ের ভালোবাসার রান্নাঘর চালু হওয়ার পর টিকটকের অনেক নেটিজেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। কিছু মানুষ ১৬টি পাত্র কিনে পাঠিয়ে দেন, কিছু লোক রান্নাঘরের দরজার ফলক তৈরি করার দায়িত্ব নেন, কেউ আবার চাল কিনে দেন। ‘ভালোবাসার রান্নাঘর’ যেন শীতের রাতে আগুনের উষ্ণতা ছড়ায়। সব মানুষ এতে জ্বালানি কাঠের যোগান দেয় এবং এই উষ্ণতা ছড়িয়ে যায় বহুদূর!
সুই খাই বলেন, অনেক ফলোয়ার তাকে ম্যাসেজ দেন। তাদের কারও কথা তার মনে গভীর দাগ কাটে। এমন একটি কথা হলো, আমরা অনেক দিন ধরে জন্মস্থান থেকে দূরে ছিলাম এবং অনেক কিছু ভুলে গেছি। অনেক স্মৃতি মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। পুনরুদ্ধার করা এসব স্মৃতি কেমন? হয়তো মাটি ও জীবনের প্রতি ভালোবাসা এবং প্রতিবন্ধকতার সামনে তাদের উদারতা। জমিতে কাজ করা বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের জন্য ছবি তোলা, টিকটকে কৃষকদের জন্য কৃষিপণ্য বিক্রি করা, ক্যান্সার রোগীদের জন্য রান্নাঘর তৈরি করা—যাই হোক না কেন, সুই খাই বাস্তব পদক্ষেপের মাধ্যমে ‘ভালোভাবে বেঁচে থাকা’— এই কথাটা অনুসরণ করে চলেছেন।
বার্ধক্য, অসুস্থতা, রোগাক্রান্ত হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। তাদের সেবা করার মাধ্যমে বিশ্বের কুয়াশা ও অন্ধকার দূর হতে পারে এবং আমরা ভালোভাবে বেঁচে থাকতে পারি।