বাংলা

টিকটকে বয়স্ক মানুষের ছবি তোলা সুই খাইয়ের গল্প-China Radio International

criPublished: 2021-12-08 19:25:53
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

অবশ্য জনপ্রিয়তা অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে নানা সন্দেহের কথাও উঠে আসে। কিছু লোক জিজ্ঞাস করেন যে, কৃষকদের জন্য কৃষিপণ্য বিক্রি করে সুই খাই নিজেও টাকা উপার্জন করেন। এসব টাকা তিনি কীভাবে ব্যয় করেন?

২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে খুব আকস্মিক এক সুযোগে সুই খাই এবং তার দল চিয়াং সি প্রদেশের ‘যত্নশীল রান্নাঘরের’ গল্প শুনতে পান।

ওয়াং নামে এক দম্পতি চিয়াংসি প্রদেশের ক্যান্সার হাসপাতালের কাছে একটি রান্নাঘর তৈরি করেছিলেন। হাসপাতালের রোগীদের আত্মীয়স্বজনরা তাদের রান্নাঘর ব্যবহার করে রোগীদের পছন্দের খাবার তৈরি করতেন। শুরুতে তারা বিনামূল্যে রান্নাঘর ধার দিতেন। তারপর প্রতীকীভাবে তারা এক ইউয়ান করে চার্জ নেন। ওয়াং দম্পতি বলেন, ক্যান্সারে আক্রান্ত অনেক রোগী জীবনের শেষ দিকে পৌঁছে গেছেন। তাদের অনেকের বড় ইচ্ছা হলো জীবনের শেষ পর্যায়ে এসব রোগীকে রান্না করে সুস্বাদু খাবার খাওয়াবেন।

এই দম্পতির কাজে মুগ্ধ হয়ে সুই খাই অনেক টাকা দিয়ে তাদেরকে তেল ও চালসহ নানা জিনিস কিনে দেন। তিনি সিয়ান শহরে এমন একটি ‘ক্যান্সার রোগীদের রান্নাঘর’ স্থাপনের চিন্তাও নেন।

এখন সুই খাই শায়ানসি প্রদেশের ক্যান্সার হাসপাতালের কাছাকাছি এমন একটি রান্নাঘর তৈরি করেছেন। তিনি তার এই রান্নাঘরকে ‘নৈতিকতা, দয়া ও ভালোবাসার শেয়ারিং রান্নাঘর’ নাম দেন। এই রান্নাঘর কোনও মুনাফা লাভের জন্য নয়। প্রতিবার মাত্র এক ইউয়ান বা কয়েক ইউয়ান টাকা নেওয়া হয়। শুরুতে তিনি ও তার দল এক লাখ ৭০ হাজার ইউয়ান বরাদ্দ দেন। তাঁরা বুঝতে পারেন যে- তাদের খরচ উঠে আসতে দীর্ঘ সময় লাগবে।

তবে এজন্য তাদের কোনো অনুশোচনা নেই। সুই খাই বলেন, কিছু ক্যান্সারের চিকিত্সা করা যায় না। তবে, রোগীদের ভালোভাবে খাওয়ালে এবং জন্মস্থান বা ঘরোয়া স্বাদের খাবার দিতে পারলে আত্মীয়স্বজনের আফসোস কমে যায়।

এই রান্নাঘরে একটি দেয়াল আছে, সেখানে প্রত্যেক রোগীর পরিবারের সুখ-দুঃখ এবং তাদের শুভকামনার কথাগুলো লেখা আছে।

首页上一页12345全文 5 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn