টিকটকে বয়স্ক মানুষের ছবি তোলা সুই খাইয়ের গল্প-China Radio International
এ বিষয়ে সুই খাই বলেন, আমি বয়স্কদের সঙ্গে গল্প করতে পছন্দ করি। তাদের সারা জীবনের অভিজ্ঞতা, আনন্দ, সুখ, দুঃখ সবার সামনে তুলে ধরি। এতে সবাই যেন তাদের গল্পের মতো সারা জীবন কাটাতে পারে।
আমাদের এই যুগ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, সবাই ছুটে যাচ্ছে সামনের দিকে। এসব বৃদ্ধ-বৃদ্ধা পুরানো সময়ের লোক হিসেবে দিন দিন পরিবর্তনশীল এই সমাজের সঙ্গে খাপ খাইতে পারেন না। বসবাসের গ্রাম ছাড়া, তাদের জগত্ অনেকটাই শূন্য।
সুই খাই তাদের সাদা ও কালো জীবনে একটুখানি রং দেওয়া মানুষ হয়ে উঠেছেন।
এবার আমরা সুই খাইয়ের একটি ভিডিও’র ওপর দৃষ্টি দেবো।
একজন বৃদ্ধা, প্রতিদিন সকাল আটটার আগে সবজি বিক্রি করার জন্য বাইরে যান। সারাদিন বাজারে থাকলেও বেশি টাকা উপার্জন করতে পারেন না। তবে তার বাসা থেকে বাজার পর্যন্ত দু’ঘণ্টার পথ চলতে হয়। পাহাড়ি রাস্তাঘাটে চলাফেরা কঠিন হলেও প্রতিদিনই তাকে এ কাজ করতেই হয়। তার পরিবারে লোকজনের সংখ্যা কিন্তু খুব বেশি নয়। সম্ভবত প্রতিদিন বাজারে দাঁড়িয়ে তিনি প্রাণবন্ত সময় অনুভব করতে পারেন।
সুই খাই এই বৃদ্ধার ছবি তোলেন এবং তার সঙ্গে আড্ডা দেন। বিদায় নেওয়ার সময় বৃদ্ধা তাকে বলেন, ‘ভালোভাবে বেঁচে থাকো।’
এ ভিডিওয়ের নিচে একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন- ‘আমার বয়স ৩০ বছর এবং আমি ক্যান্সারে আক্রান্ত। আসলে আমি অনেক আগে থেকেই প্রতিদিন জীবনের শেষ দিন হিসেবে আনন্দের সঙ্গে কাটাচ্ছি। তবে এই ভিডিওতে বৃদ্ধার ‘ভালোভাবে বেঁচে থাকো’ কথাটি শুনে আমি নিজের কান্না ধরে রাখতে পারি নি। যারা অসুস্থ হয়েছেন, তাদের কাছে এই কথাটার অর্থ অনেক ব্যাপক।
বর্তমানে সুই খাইয়ের টিকটক আকাউন্টে ২০ লাখ ফলোয়ার আছে। তার আচরণ অনেককে উত্সাহিত করেছে। এখন অনেক লোক ক্যামেরা দিয়ে গ্রামের বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের ছবি তোলা শুরু করেছেন। আরও বেশি লোক গ্রামাঞ্চলের বয়স্কদের জীবনে প্রবেশ করেছেন এবং তাদের একাকী বার্ধক্য জীবনে নতুন উপাদান যোগ করেছেন। এই ইতিবাচক প্রভাব হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।