টিকটকে বয়স্ক মানুষের ছবি তোলা সুই খাইয়ের গল্প-China Radio International
এখন চীনের গ্রামাঞ্চলে তরুণ-যুবকদের খুব কম দেখা যায়। তারা জীবিকার জন্য জন্মস্থানের বাইরে চাকরি করার জন্য শহরে বাস করেন। তবে, এমন একজন তরুণ আছেন, যিনি তার ক্যামেরা দিয়ে গ্রামাঞ্চলে বাস করা বয়স্ক মানুষের ছবি তোলেন। তার নাম সুই খাই।
কুঁচকানো মুখ ও তাদের জীবনের গল্পগুলো যেন ধীরে ধীরে ক্যামেরায় ফুটে ওঠে। সুই খাই গ্রামাঞ্চলে গিয়ে বয়স্কদের সঙ্গে আড্ডা দেন। চলতি বছর ফসল কেমন হলো? তাদের সন্তানরা কে কোথায় আছেন—ইত্যাদি নানা বিষয়ে তিনি খোঁজ-খবর নেন।
বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সঙ্গে গল্প করার পর সুই খাই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করতেন। তা হলো বয়স্কদের ছবি তোলা। ছবি তোলার পর একটি ফ্রেমে বেঁধে তাদের উপহার দিতেন তিনি। ছবিতে বয়স্ক মানুষদের হাসি-মুখের মুহূর্তটি রেকর্ড করা হয়, দেখতে বেশ আন্তরিক ও উষ্ণতায় ভরা।
আসলে এই কাজ সুই খাই অনেক আগেই করা শুরু করেছেন।
উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীতে পড়ার সময় চাচা তাকে একটি ক্যামেরা উপহার দিয়েছিলেন। তিনি সেই ক্যামেরা নিয়ে জন্মস্থানের আশেপাশের গ্রামে ঘুরে বেড়াতেন। শুরুতে তিনি বয়স্কদের সঙ্গে পরিচিত হলেন এবং তাদের প্রকৃত জীবন সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন। তারপর তিনি বয়স্কদের জন্য ছবি তোলেন। শুরুতে এই কাজটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি মনে করতেন না।
গত বছর বয়স্কদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া এবং তাদের ছবি তোলার দৃশ্য শুটিং করেন তার জনৈক বন্ধু। বন্ধু সেই ভিডিও টিকটকে পোস্ট করেন।
টিকটকে পোস্ট করা এই ভিডিও দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। যা ছিল তাদের কল্পনার বাইরে।
তারপর তিনি আবিষ্কার করেন যে, অনেক মানুষ খুব সাধারণ উষ্ণতায় মুগ্ধ হয়ে যায়। তারপর টানা দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে তিনি নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে থাকেন এবং টিকটকে তার ফলোয়ারের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যায়। অনেকের অদ্ভুত মনে হয়েছে যে, কেন তিনি বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের ওপর ক্যামেরা ধরছেন? তরুণ ও সুন্দর ইন্টারনেট সেলিব্রিটির ওপর ফোকাস করলে তা আরো জনপ্রিয় হতো না?