সু হুয়া ওয়েট’র গল্প-China Radio International
পরের চারটি প্যারালিম্পিক্সে সু হুয়াওয়ে পদক নিয়ে ফিরে আসেন এবং বহুবার প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদদের একশ’ ও দুইশ’ মিটার দৌড়ে নতুন বিশ্বরেকর্ড তৈরি করেন।
দুর্বল শ্রবণশক্তির কারণে তিনি স্পষ্টভাবে বন্দুকের শব্দ শুনতে পারেন না। তাই তিনি সবসময়ই সবার শেষে দৌড়ানো শুরু করেন। তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয় হলো তিনি একের পর এক প্রতিযোগীকে ছাড়িয়ে প্রথমে পৌঁছে যান।
শুরুর লাইনে হেরে গিয়ে এবং শেষ লাইনে জিতে যাওয়া-এটাই সু হুয়া ওয়ে’র গল্প। তাকে হংকংবাসীরা তাদের ‘ফরেস্ট গাম্প’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
সমানভাব হংকংয়ের জন্য মর্যাদা অর্জন করলেও প্রতিবন্ধী খেলোয়াড় হিসেবে সু হুয়াওয়ে’র পারিশ্রমিক অন্যান্য স্বাস্থ্যবান ক্রীড়াবিদদের তুলনায় অনেক কম। ‘Zero to Hero’ নামে একটি চলচ্চিত্রে এমন একটি কথোপকথন আছে। আমি এখন ক্রীড়াবিদ নই, আমি একজন ডেলিভারিম্যান। আমি এখন দৌড়ানো শুরু করলে প্রতি মাসে সরকারের ভাতা তিন হাজার হংকং ডলার হতো। হংকংয়ে একজন সাধারণ পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মাসিক বেতন ৭০০০ হংকং ডলার।
২০০০ সালের সিডনি প্যারালিম্পিক গেমসে সু হুয়াওয়ে ৩টি স্বর্ণপদক এবং একটি রৌপ্য পদক অর্জন করেন। তবে সব বোনাসের মোট আর্থিক পরিমাণ ২ লাখ হংকং ডলারেরও কম। সেই সময় তিনি নিজের খরচে প্রশিক্ষণের পোশাক কিনেছিলেন এবং প্রতিযোগিতা না থাকলে তার কোনো আয় হতো না।
সৌভাগ্যবশত, সু হুয়াওয়ে একজন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে পরিচিত হন। তিনি হচ্ছেন অ্যান্ডি লাউ, হংকংয়ের বিখ্যাত অভিনেতা ও মহান তারকা।
অর্থাভাবে সু হুয়াওয়ের ক্রীড়া জীবন যাতে শেষ না হয়, সেজন্য অ্যান্ডি লাউ তাকে বিশেষভাবে নিজের ভক্তদের ক্লাবে নিয়োগ দেন। যখন কোনও বড় প্রতিযোগিতার জন্য সু হুয়াওয়ে’র প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হবে, তিনি যে কোনও সময় চলে যেতে পারবেন এবং এজন্য তার বেতনও কাটা হবে না।