বাংলা

সু হুয়া ওয়েট’র গল্প-China Radio International

criPublished: 2021-09-30 11:03:13
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

বেইজিং সময় পহেলা অগাস্ট টোকিও অলিম্পিক গেমসে পুরুষদের একশ’ মিটার সেমিফাইনালে সু বিং থিয়েন নামে চীনা ক্রীড়াবিদ ৯.৮৩ সেকেন্ডে তাঁর ট্র্যাক সম্পন্ন করেন এবং এশিয়ার রেকর্ড ভঙ্গ করেন। ফাইনালে তিনি ৯.৯৮ সেকেন্ডে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেন এবং চীনের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেন। তাই তাকে ‘নতুন রেকর্ড সৃষ্টিকারী’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তিনি নিজের মাইক্রোব্লগে লিখেছেন যে, সু হুয়াওয়ে প্রতিবন্ধী ট্র্যাক এন্ড ফিল্ড ক্রীড়াবিদ তার মনের ‘রেকর্ড সৃষ্টিকারী’ ক্রীড়াবিদ।

সু হুয়া ওয়ে কে? ‘Zero to Hero’ নামের এ চলচ্চিত্র তার অভিজ্ঞতা অবলম্বনে তৈরি করা হয়েছে। তিনি ১৯৮১ সালে খুব সাধারণ একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা একজন পেইন্টার ও মা গৃহিণী। জন্মের পর পরই তিনি জন্ডিস রোগে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হন। চিকিত্সক ও মায়ের অক্লান্ত চেষ্টায় তার জীবন বাঁচলেও তার মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ কারণে, সু হুয়াওয়ে তীব্র খিঁচুনি হতো এবং তার শ্রবণশক্তি কমে যায়।

শারীরিক অক্ষমতার কারণে সু হুয়াওয়ে ছোটবেলা থেকেই দাঁড়াতে পারতেন না। মা বরাবরই তাকে সাহায্য করতেন। মায়ের নিরলস প্রচেষ্টায় চার বছর বয়সে সু হুয়াওয়ে জীবনের প্রথম ধাপ ফেলেন।

স্বাস্থ্য গঠনের জন্য মা তাকে বিশেষ স্কুলের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড টিমে অংশগ্রহণে অনুপ্রেরণা দেন। টিমের কোচ তার সম্ভাব্য শক্তি আবিষ্কার করেন। ১৯৯৬ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সী সু হুয়াওয়ে আটলান্টা প্যারালিম্পিক্সে অংশগ্রহণ করেন। হংকং প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে তিনি ও তার সতীর্থরা ৪০০ মিটার রিলে দৌড়ে সোনা জয় করেন।

আগে ‘দৌড়নো’কে নিজের শখ হিসেবে বিবেচনা করতেন সু হুয়াওয়ে। তার জীবন এই স্বর্ণপদকের কারণে বদলে যায়। তখন থেকে তিনি পূর্ণকালীন ক্রীড়াবিদ হয়ে ওঠেন। মা সু হুয়াওয়েকে বলেন, অন্যদের চেয়ে তুমি ধীর গতিতে হাঁটো, কিন্তু অন্যদের চেয়ে দ্রুত দৌড়াও- কী আশ্চর্য!

1234全文 4 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn