মুভি ‘ইউয়ান লোং পি’-China Radio International
বিদেশি গণমাধ্যম তার মৃত্যুর খবর প্রচারের সময় প্রায়ই ‘সাহায্য’ শব্দটি ব্যবহার করে। ব্রিটেনের ‘দ্য ইন্ডিপেন্টেন্ট’ পত্রিকা তার প্রশংসা করে লিখেছে যে, তার উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত বিশ্বের মানুষকে সাহায্য করেছে। দ্য অ্যাসোসিয়েট প্রেস বা এপি বলেছে, তার গবেষণা সারা বিশ্বকে বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করেছে।
গত বছর ইউয়ান লোং পিংয়ের ৯০ বছরের জন্মদিনে জার্মান গণমাধ্যম তাকে ‘বিশ্বের কল্যাণ সৃষ্টিকারী বীর বিজ্ঞানী’ হিসেবে উল্লেখ করে।
আসলে ইউয়ান লোং পিংয়ের মৃত্যুর খবর চীনের ইন্টারনেট জগতে শোক ছড়িয়ে পড়ে। বিদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তুমুল সাড়া পড়ে।
পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও ব্রাজিলসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের নেট ব্যবহারকারীরা বিশ্বের ধান চাষ ও খাদ্য নিরাপত্তায় ইউয়ান লোং পিংয়ের অবদানকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং ধন্যবাদ জানিয়েছে।
যেসব বিজ্ঞানী কৃষি নিয়ে গবেষণা করেন, তারা ইউয়ান লোং পিংয়ের সঙ্গে গ্রুপ ছবিও পোস্ট করেছেন। বাংলাদেশের একজন নেট ব্যবহারকারী টুইটারে বলেছেন, তিনি ইউয়ান লোং পিংয়ের কাছে অনেক কিছু শিখেছেন। তিনি হু নান প্রদেশে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, তার মৃত্যু হলো ‘বিশাল ক্ষতি’।
আসলে গত শতাব্দীর ৮০’র দশক থেকে ইউয়ান লোং পিং সঙ্কর ধানের প্রযুক্তিবিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ ক্লাস চালু করেন। তিনি ৮০টিরও বেশি উন্নয়নশীল দেশের জন্য ১৪ হাজারেরও বেশি সঙ্কর ধানের প্রযুক্তিবিদকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।
আগের একটি সাক্ষাত্কারে ইউয়ান লোং পিং বলেন, তার নামের পাশে অনেক উপাধি থাকলেও তিনি জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রধান উপদেষ্টার উপাধি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর দক্ষ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হলো আমার ইচ্ছা।’
‘একাডেমিশিয়ান ইউয়ান লোং পিংয়ের মৃত্যুর খবরে আমি দারুণ দুঃখ পেয়েছি। এই অনুভূতি যেন আমার আত্মীয়স্বজন হারানোর মতো বেদনা।’ ইউয়ান লোং পিং চলচ্চিত্রে ইউয়ান লোং পিংয়ের চরিত্রে অভিনয় করা বিখ্যাত অভিনেতা কুও চিং লিন এভাবেই বলেন।