মুভি ‘ইউয়ান লোং পি’-China Radio International
খাদ্যশস্যের উত্পাদন স্থিতিশীল হলে সারা দেশ স্থিতিশীল হয়। উন্নত ধান চাষের ভিত্তি হলো বিজ্ঞানের ব্যবহার। বিজ্ঞানী ইউয়ান লোং পিং দেশ ও জনগণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন। প্রযুক্তিগত পদ্ধতি পরিবর্তন হলেও সব চাষের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো ভালো ফসল পাওয়া।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সঙ্কর ধানের বার্ষিক উত্পাদনের আয়তন ২৪ কোটি মু ছাড়িয়ে যায় এবং প্রতি বছর ২৫ লাখ টন ধান উত্পাদন বৃদ্ধি পায়। চীন বাস্তবতা দিয়ে বিশ্বের কাছে প্রমাণ করেছে যে, চীনারা নিজের কাজের মাধ্যমে ১৪০ কোটি মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম।
ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াই শুধু চীনাদেরই সংগ্রাম নয়, বরং বিশ্ববাসীর সংগ্রাম। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর প্রকাশিত ‘বৈশ্বিক খাদ্য সংকট বিষয়ক রিপোর্ট-২০২১’ থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালে ৫৫টি দেশ ও অঞ্চলে কমপক্ষে সাড়ে ১৫ কোটি মানুষ খাদ্যের সংকটে পড়ে বা আরো মারাত্মক আকস্মিক খাদ্যশস্যের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়।
বিদেশিরা বলেন, ইউয়ান লোং পিং যে জিনিস নিয়ে গবেষণা করেন তা হলো- ক্ষুধা নির্মূলকারী ‘পূর্বের যাদুকরী চাল’।
২০১০ সালে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর তত্কালীন মহাসচিব জোসেত্তে শিরান বলেছিলেন, মানুষ আমাকে জিজ্ঞেস করে, কেন আমি এতো বিশ্বাসী যে, আমাদের এই প্রজন্মের হাতে ক্ষুধা নির্মূল হবে? আমার উত্তর হলো ‘চীন’।
আফ্রিকার দ্বীপ দেশ মাদাগাস্কারের নতুন মুদ্রায় সঙ্কর ধানের ছবি ছাপানো হয়েছে।
সঙ্কর ধানের কল্যাণে মাদাগাস্কারের চাল আমদানির ইতিহাস শেষ হয়েছে। আগে ওই দেশের ২০ লাখ লোক দুর্ভিক্ষে পড়েছিল।
সঙ্কর ধান বিশ্বের খাদ্যসংকট সমাধানের ‘চীনা পরিকল্পনা’। সঙ্কর ধান উন্নত করা এবং বিশ্বের জনগণের কল্যাণ সৃষ্টি করা হলো ইউয়ান লোং পিংয়ের সারা জীবনের স্বপ্ন।
ইউয়ান লোং পিংয়ের মৃত্যু বিশ্বের বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। জাতিসংঘ তার মাইক্রোব্লগে লিখেছে, ‘অ্যাকাডেমিশিয়ান ইউয়ান লোং পিং খাদ্যশস্যের নিরাপত্তা এগিয়ে নেওয়া, দারিদ্র্য নির্মূল করা এবং জনকল্যাণ সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছেন।’