মুভি ‘ইউয়ান লোং পি’-China Radio International
গত ২২ মে চীনে ৯১ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন; তাঁর নাম ইউয়ান লোং পিং। তিনি ছিলেন চীনের হাইব্রিড ধানের ব্রিডিং বিশেষজ্ঞ ও সঙ্কর ধান গবেষণা ও উন্নয়নে চীনের অগ্রগামী ব্যক্তি। তাঁকে ‘বিশ্বের সঙ্কর ধানের জনক’ বলা হয়।
আজকের অনুষ্ঠানে ‘ইউয়ান লোং পিংয়ের’ নামে তৈরি একটি চলচ্চিত্রের সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেবো। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সম্মানিত ও গণপ্রজাতন্ত্র পদকপ্রাপ্ত এই বিজ্ঞানীর জীবনকাহিনী তুলে ধরব।
‘ইউয়ান লোং পিং’ চলচ্চিত্রটি কৃষিবিদ ইউয়ান লোং পিংয়ের জীবনকাহিনী। এতে তরুণ বয়স থেকে বার্ধক্য পর্যন্ত তার জীবনের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। ‘সঙ্কর ধানের জনক’ হিসেবে পরিচিত ইউয়ান লোং পিং মানবজাতির খাওয়া-পরার সমস্যার সামধান করতে সঙ্কর ধান নিয়ে জীবনভর গবেষণা করেছেন।
২৬ বছর বয়সে ইউয়ান লোং পিং তার কৃষিকাজ নিয়ে পরীক্ষা শুরু করেন। তারপর তিনি মিষ্টি আলুর প্রজনন থেকে ধানের প্রজনন নিয়ে গবেষণা করা শুরু করেন। তার এই পরিবর্তন তার সারা জীবনকে পরিবর্তনের পাশাপাশি চীন ও বিশ্বের ওপর সুগভীর প্রভাব ফেলে।
বলা যায়, চীনা জাতির ইতিহাস মূলত ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াই করার ইতিহাস। অনাহারে কষ্ট ভোগ করা আমাদের সবচে কষ্টকর স্মৃতি।
‘সবার জন্য ক্ষুধা থেকে মুক্তি’ ছিল অসম্ভব একটি স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে ইউয়ান লোং পিং অর্ধ শতাব্দীর গবেষণা করেন।
‘গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার পর কৃষি-বিষয়ক প্রথম প্রজন্মের স্নাতক ছাত্র হিসেবে আমি খাদ্যশস্যের উত্পাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই। জনগণকে ক্ষুধা থেকে মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেই আমি।’ ১৯৫৩ সালে দক্ষিণ-পশ্চিম কৃষি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি পাওয়ার পর ইউয়ান লোং পিং এমন শপথ করেন। সেই সময় প্রাণবন্ত নতুন চীন তাকে বিশাল কাজের সুযোগ করে দেয়। ১৯৮৪ সালে হুনান প্রদেশের সঙ্কর ধান গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রের দেওয়া প্রথম দফার বরাদ্দ ছিল ৫০ লাখ ইউয়ান। ফলে কেন্দ্রে দ্রুত গতিতে গ্রিন হাউজ এবং জলবায়ু নিয়ন্ত্রণকারী ঘর গড়ে তোলা হয়। নতুন করে দু’শতাধিক মেশিন কেনা হয়।