ফারএওয়ে ব্রাইডস্-China Radio International
স্বামীর সঙ্গে নাইজেরিয়ায় যাওয়া সংক্রান্ত সেরেনার এই সিদ্ধান্ত কি সঠিক? একেক মানুষের একেক চিন্তা-ধারা আছে। তবে সেরেনা এবং সিন মনে করেন, এক জোড়া দম্পতি হিসেবে একে অপরের জন্য ত্যাগ স্বীকার করা উচিত্।
উক্ত দুটি গল্প স্বপ্ন ও জীবনের বাছাইয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। এখন আমরা একসঙ্গে তৃতীয় গল্পের ওপর দৃষ্টি দেবো। এ গল্পটি মারাত্মক রিপারের হাত থেকে সুখ ছিনিয়ে নেওয়া এক জোড়া প্রেমিক-প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্কিত।
আ ছিউ একজন ওয়ার্কাহোলিক। তিনি হংকংয়ের একটি টিভি কেন্দ্রে পরিচালকের কাজ করতেন। এক সপ্তাহে টানা ৭ দিন ধরে কাজ করতেন তিনি। প্রেমে জড়িয়ে পড়ার সময় তার একেবারেই ছিলো না। একদিন তিনি নিজে অসুস্থ বোধ করলেন। চিকিত্সক তাকে জানালেন যে, তিনি তীব্র কিডনি ব্যর্থতার রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। হাসপাতালে থাকার সময় তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার টিভি নাটকবিষয়ক এক ইন্টারনেটে বর্তমানের স্বামী ছাং ইউংয়ের দেখা পান। ছাং ইয়ং দক্ষিণ কোরীয়। আ ছিউয়ের অবস্থা জেনে নেওয়ার পর ছাং ইয়ং তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। শুধু তাই নয়, তিনি আ ছিউকে নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় চিকিত্সার জন্য যাওয়ার প্রস্তাবও দেন। আ ছিউ মুগ্ধ হলেও তিনি অন্যদের ঝামেলা হয়ে যেতে চান না। তাই তারা দু’জন আলোচনার পর এমন একটি সিদ্ধান্ত নেন যে, আ ছিউ পরের সার্জারিতে বেঁচে থাকলে তারা বিয়ে করবেন। সৌভাগ্যের বিষয় হলো সার্জারি সফল হয়। আ ছিউ অবশেষে ছাং ইয়ংয়ের বিবাহের প্রস্তাব গ্রহণ করেন। তবে ছাং ইউংয়ের বাবা-মা আ ছিউ’র স্বাস্থ্যের অবস্থার কারণে তাদের বিবাহের বিরোধিতা করেন। তবে ছাং ইয়ংয়ের জেদে বাবা-মা তাদের দু’জনকে শুভেচ্ছা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বিয়ের পর আ ছিউ ছাং ইয়ংয়ের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ায় যান। সার্জারি সফল হলেও আ ছিউ’র শরীরে যে-কোনো সময় মারাত্মক পরিবর্তন ঘটার আশঙ্কা থেকেই যায়। ছাং ইয়ং প্রতিদিন মনোযোগ দিয়ে স্ত্রীকে দেখভাল করতে থাকেন। জীবনের সামান্য আক্ষেপ বলতে গেলে তা হলো সন্তানের সমস্যা। শরীরের কারণে আ ছিউর দু’বার গর্ভপাত হয়। ভবিষ্যতে তাদের সন্তান পাওয়ার সুযোগ কম। তবে, ছাং ইয়ং কখনই স্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেননি, তিনি স্ত্রীর ওপর কোনো চাপ দিতে চান না। তার জন্য পাশে আ ছিউ থাকলে যথেষ্ট মনে করেন।