ফারএওয়ে ব্রাইডস্-China Radio International
এভাবে তাদের দু’জনের গল্প শুরু হয়।
দিনের পর দিন তাদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ থেকে ঘনিষ্ঠতর হয়। তবে রেগিসের সঙ্গে ফ্রান্সে যাবে কি না, তা ছিল সিও ইউনের জন্য অত্যন্ত জটিল প্রশ্ন। হংকংয়ে তিনি একজন প্যাস্ট্রি শেফ এবং এই চাকরি পাওয়া ফ্রান্সে সহজ নয়।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি পাওয়ার পর তিনি বাবা-মা’র আশা পূরণ করতে একটি কোম্পানিতে যোগ দেন। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তিনি অফিসে কাজ করতেন। তবে এমন জীবন তিনি একদম পছন্দ করতেন না। তারপর ৩০ বছর বয়সে তিনি সবকিছু ছেড়ে মিষ্টি শিল্পে ঝাঁপিয়ে পড়েন। রান্নার ঘরে তিনি শূন্য থেকে শিখতে শুরু করেন। ক্লান্ত হলেও তিনি আনন্দ বোধ করেন এবং মন থেকে এই নতুন কাজ পছন্দ করেন। কয়েক বছর পর তিনি সাফল্যের সঙ্গে প্যাস্ট্রি শেফে পরিণত হন। ফ্রান্সে বিয়ে করলে প্যাস্ট্রি শেফ হিসেবে তার এই পেশা শেষ হওয়ার আশঙ্কা আছে। ভাষার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা ছাড়াও, হংকং স্টাইল থেকে ফরাসি স্টাইলে বদলে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে তাকে। সেই চিন্তাও ছিল। নিজের বয়স বিবেচনা করলে ভবিষ্যত নিয়ে সিও ইউন সত্যিই উদ্বিগ্ন। সেই সময় রেগিস তাকে সর্বোচ্চ উত্সাহ দেন। প্রিয়জনের সমর্থন এবং নিজের অধ্যবসায়ের কারণে বর্তমানে সিও ইউন ফ্রান্সের একটি বিখ্যাত মিষ্টির দোকানে উপ-পাচকের দায়িত্ব পালন করছেন।
এ ধরনের বিয়ের পর, নিজের জন্মস্থান ত্যাগ করা কঠিন কাজ। তবে অন্য পক্ষের সমর্থন ও সাহায্য এক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।
যা হোক, তাদের জীবনে ঝগড়াও মাঝেমাঝে ঘটে। প্রতিবার ঝগড়ার পর রেগিস সিও ইউনের কাছে প্রশ্ন করেন: আমরা কি একটি টিমে আছি?
বিবাহের পর ‘আমাকে’ নিয়ে নয়, বরং ‘আমাদেরকে’ নিয়ে বেশি চিন্তা করা প্রয়োজন। ‘আমাদের’ কথা বিবেচনায় রেখে একই দিকে এগালে অনেক দ্বন্দ্ব সহজেই সমাধান করা যাবে। পারস্পরিক সমঝোতা ও বিবেচনা হলো একটি দম্পতির সফল জীবন কাটানোর গোপন রহস্য।