আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স: এআই-China Radio International
তবে গল্পের কাহিনীতে একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে। মা’র জৈবিক পুত্র মার্টিন কোমা থেকে জেগে ওঠে। এভাবে ডেভিডের অপরিহার্যতা পরিবারে হ্রাস পায়। কিন্তু সে মার্টিনের খেলার সঙ্গিতে পরিণত হয়। খাবার টেবিলে একদিন মার্টিনের সঙ্গে সবজি খাওয়ার প্রতিযোগিতা করে ডেভিড। ফলে ডেভিডের কৃত্রিম শরীর খারাপ হয়। মেরামত করার পর সে আবার ভালো হয়।
তারপর ডেভিড বার বার একটার পর একটা ভুল করতে থাকে। ইচ্ছায় নয়, অনিচ্ছায়। সে মা’র চুল কাটতে গিয়ে মা ও বাবাকে ভয় পাইয়ে দেয়। একবার সে মার্টিনকে সাঁতারের পুলে ঠেলে দেয় এবং এতে মার্টিনও প্রাণ প্রায় যায় যায় অবস্থা।
এসময় মা-বাবা’র চোখে ডেভিড হয়ে ওঠে মূর্তিমান আতঙ্ক। কখন কোন ভুল করে বসে! কিন্তু ডেভিডকে তার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের হাতে দিয়ে দিলে, চুক্তির শর্ত অনুসারে তারা তাকে ধ্বংস করে দেবে। মা এটা হতে দিতে নারাজ। তাই মা ড্যাভিড ও তার প্রিয় টেডি বেয়ারকে বনের মধ্যে রেখে চলে আসেন।
ডেভিড কিন্তু মা-কে এর জন্য দোষ দেয়নি! সে নিজেকেই দোষ দিতে থাকে। সে মনে করে, মা তাকে ভালোবাসে না কারণ সে মানুষ না। তাই সে ভাবে যে, শুধু মানুষে পরিণত হলেই মা তাকে ভালোবাসবেন। এমন ধরনের ঘোর নিয়ে ডেভিড রূপকথার পরীকে খুঁজে বের করতে লম্বা যাত্রা শুরু করে।
এভাবে দু’হাজার বছর পার হয়ে যায়। সমুদ্রের জল জমে গেছে এবং মানবজাতি অনেক আগেও অদৃশ্য হয়ে গেছে। সমুদ্রের নীচে ফ্রিজ হয়ে থাকা ডেভিডকে আবিষ্কার করে ভিনগ্রহের বাসিন্দারা। তাদের সাহায্যে ডেভিড তার কাছে থাকা মা’র চুল থেকে মায়ের ক্লোন তৈরি করে। আসলে ডেভিড কি মানবে পরিণত হওয়ার কোনো দরকার আছে? না, আমি তা মনে করি না। মা’র প্রতি তার চিরন্তন ভালোবাসার কারণে সে সত্যিকার অর্থেই একজন মানবে পরিণত হয়ে যায়! সে অন্য কাউকে ভালোবাসতে পারে এবং অন্যদের ভালোবাসা পাওয়ার আশা-আকাঙ্ক্ষা রাখতে পারে।