আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স: এআই-China Radio International
‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স: এআই’ নামের চলচ্চিত্র তৈরিতে মোট ১০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় হয়। এই অংক ‘Jurassic Park জুরাসিক পার্ক’ নামের চলচ্চিত্রের খরচ ছাড়িয়ে যায়। এর স্পেশাল ইফেক্ট এই সময়ে এসে দেখতেও ভালো লাগে।
‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স: এআই’ নামের চলচ্চিত্রের কাহিনী কয়েক শ বছর পরের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে লিখিত। মানবজাতির অতিরিক্ত বাবুগিরির ফলে হিমবাহ গলে যায় এবং অনেকের বাসস্থান প্লাবিত হয়। কোনো কোনো দেশ মানবজাতির জন্ম সীমাবন্ধ করার এবং আরো পরিবেশবান্ধব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর গবেষণা করে। বলা যায়, এসব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হলো রোবটের চূড়ান্ত রূপ। তাদের আচরণ মানুষের মতো। মানুষের ভীরে মিশে গেলে তাদের চেনা মুশকিল। তারা কটু কথায় ব্যথাও বোধ করে! তারপর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একসময় ভালোবাসা বুঝতে শেখে। মানুষের চেয়ে তাদের ভালোবাসা আরও নিবেদিত ও স্থায়ী। পুরো মন দিয়ে একজনকে ভালোবাসলে তারা ধ্বংস না-হওয়া পর্যন্ত ভালোবাসতেই থাকে।
ডেভিড হচ্ছে মানুষের ভাবানুভূতির অধিকারী একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
চলচ্চিত্রে দেখা যায়, একটি পরিবারের এক বালক সড়ক দুর্ঘটনায় কোমায় চলে যায়। তাকে কৃত্রিমভাবে বাঁচিয়ে রাখা হয়। শেষে পরিবারটি ডেভিড নামের একটি বালক রোবটকে দত্তক নেয়। খুব দ্রুত সে পরিবারের একজন সদস্য হয়ে ওঠে। ডেভিড সন্তানের শোকে কাতর মা-কে সমবেদনা জানায়, তাকে ভালোবাসে।
ডেভিডের আচরণ মাঝে মাঝে একটু আশ্চর্যজনক। সে মানুষের মতো খেতে পারে না, পানও করতে পারে না। তবে মা’র প্রতি তার ভালোবাসা সহজ ও উষ্ণ।
সে মাকে জিজ্ঞাস করে, মানুষ কতো বছর বেঁচে থাকতে পারে? মা উত্তর দেন যে, ‘আমি হয়তো আর ৫০ বছর বেঁচে থাকবো।’
৫০ বছর অমর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্য অত্যন্ত স্বল্প সময়। তাই ডেভিড গোপনে প্রতিজ্ঞা করে যে, মা’র সঙ্গে প্রতিটি মিনিট ও সেকেন্ডের মূল্য দেবে।