আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স: এআই-China Radio International
দেখতে দেখতে একটা বছর কেটে গেল। নভেল করোনাভাইরাস মহামারী দেখা দেওয়ার পরের একটি কঠিন বছর। পৃথিবীর মানুষের জীবন অনেকক্ষেত্রেই বদলে গেছে এই এক বছরে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সব খাত। চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন শিল্পেও মহামারীর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিশ্বের বহু প্রেক্ষাগৃহ গত এক বছর ধরে বন্ধ। বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্র তৈরির প্রক্রিয়া বলতে গেলে থমকে দাঁড়িয়ে আছে।
আপাতত নিঃসন্দেহে ২০২০ সাল ছিল চলচ্চিত্রজগতের জন্য অন্ধকার সময়।
২০২০ সালে খুব কম নতুন চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। আসুন আমরা আগের ক্ল্যাসিকাল চলচ্চিত্রের ওপর খানিকটা নজর বুলিয়ে নিই।
আজকের ‘আলোছায়া’ অনুষ্ঠানে আমরা ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স: এআই’ নামের একটি পুরাতন চলচ্চিত্রের সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেবো। আপনারা যারা দেখেছেন তারাও আশা করি আলোচনা শুনে নিজেদের স্মৃতি ঝালাই করে নিতে পারবেন।
২০ বছর আগে ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স: এআই’ নামের এ চলচ্চিত্র নির্মিত ও প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হয়। ২০ শতাব্দীর ৮০ দশকের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার Stanley Kubrick স্ট্যানলি কুবরিক ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স: এআই’ নামের উপন্যাসের গল্প রূপালি পর্দায় তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। তবে সেই সময় একদিকে উপন্যাস অনুযায়ী নির্মিত পাণ্ডুলিপি নিয়ে তিনি যথেষ্ট সন্তুষ্ট ছিলেন না, অন্যদিকে তখনকার স্পেশাল ইফেক্ট প্রযুক্তি এতো পরিপক্ব ছিল না। এ কারনে তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন। চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজে হাত দিতে পারেননি। এভাবে সময় পার হয়ে যায়। একদিন তিনি Steven Allan Spielberg স্টিভেন এলান স্পিলবার্গ পরিচালিত ‘Jurassic Park জুরাসিক পার্ক’ নামের চলচ্চিত্র দেখেন। সূক্ষ্ম মডেল এবং সর্বশেষ কম্পিউটার প্রযুক্তির সমন্বয়ের ফলে প্রাণবন্ত ডাইনোসোর তৈরি করে চলচ্চিত্রে দেখানো হয়েছে। তাই কুবরিক স্পিলবার্গকে ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স: এআই’ নামের ফিল্ম পরিচালনার আমন্ত্রণ জানান। ‘আপনি পরিচালক হিসেবে এবং আমি চিত্রনাট্যকার হিসেবে এ চলচ্চিত্র নির্মাণ করবো।’—তিনি বলেছিলেন। দুঃখের বিষয় হলো কুবরিক ১৯৯৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন এবং অবশেষে এ চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ তিনি পাননি। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এই বিজ্ঞান কল্পকাহিনীমূলক চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। স্পিলবার্গ একে কুবরেকের স্মরণে উৎসর্গ করেন।