চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎউজ্জ্বল: ঢাকায় চীনের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত
চলতি বছর বাংলাদেশে চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর নির্মাণাধীন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর সম্ভাবনাও অনেক। কর্ণফুলি নদীর খননকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হবে। টেলিযোগাযোগ নেট আধুনিকীকরণ প্রকল্পও সম্পন্ন হবে। আইসলাম কয়লাচালিত বিদ্যুতকেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হবে। সিঙ্গেল-পয়েন্ট মুরিং এবং ডাবল-লাইন পাইপলাইন প্রকল্পের কাজও শেষ হবে। পদ্মা সেতুর রেলপথ সংযোগ লাইনের প্রথম অংশ উন্মুক্ত হবে। রাজশাহী পৃষ্ঠতল পানি শোধনাগার প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হবে।
আমি বিশ্বাস করি, ২০২৩ সালে চীন ও বাংলাদেশের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ বিষয়ক সহযোগিতা থেকে অনেক সাফল্য অর্জিত হবে। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটির ‘বাংলাদেশ অধ্যায়’-কে চমত্কারভাবে রচনা করতে পারবো।
প্রশ্ন: আপনি কর্ণফুলি খনন, পদ্মা সেতু আর পায়রা বিদ্যুতকেন্দ্রসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের নাম উল্লেখ করেছেন। এ প্রকল্পগুলোর কোনটা আপনি প্রথমে পরিদর্শন করতে চান?
উত্তর: এ সব প্রকল্প দেখার আগ্রহ আমার আছে। এখানকার কাজের অবস্থা আরো ভালো করে জেনে নিয়ে চলতি বছর আমি এ প্রকল্পগুলো দেখতে যাবো। দেখবো, এ প্রকল্পগুলো কীভাবে বাংলাদেশের জনগণের জীবিকা উন্নয়নে অবদান রাখছে, কীভাবে চীন ও বাংলাদেশের জনগণের মৈত্রী বাড়াতে ভূমিকা রাখবে। আমি বিশ্বাস করি, এ প্রকল্পগুলো বাংলাদেশের জনগণের সমর্থন পাবে এবং বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রশংসা কুড়াবে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ইস্যু যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। চীন হচ্ছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সুপ্রতিবেশী। ভবিষ্যতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন কী ভূমিকা রাখতে পারে?
উত্তর: চীন রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান বুঝতে পারে। এ বিষয়ে চীন সবসময় ন্যায়সংগত মনোভাব নিয়ে কাজ করে আসছে। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারসংশ্লিষ্ট একটি প্রস্তাবে চীন ভোটদানে বিরত থাকে, ফলে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। চীন তার বাস্তব কর্মের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে যে, দেশটি সবসময়ই বিষয়ের সত্যতা বিবেচনা করে নিজের অবস্থান নির্ধারণ করে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য চীন পরিবেশ সৃষ্টি করার যথাসাধ্য চেষ্টা করে আসছে, যা বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সমাজ দেখছে।